বেশিরভাগ মহিলাই অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করতে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করেন, তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বাজারে খুব সহজে পাওয়া যায়। এর আবিষ্কারের পথটাও তেমন সহজ ছিল না। গর্ভনিরোধক পিল আবিষ্কারের কৃতিত্ব ডাঃ ইতিয়েন-এমিল বাউলিউ। তিনি বিশ্বাস করতেন এই ওষুধ চিকিৎসা জগতে বিপ্লব আনবে। যখন এই ওষুধের ধারণা তার মাথায় আসে, তখন তিনি এমন মহিলাদের কথা ভেবেছিলেন যারা অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করতে চান। ডাঃ বুলিউ বিশ্বাস করতেন যে এই ওষুধের প্রবর্তন নারীদের জীবন বদলে দেবে। আমরা আপনাকে বলি যে ডাঃ বুলিউ গর্ভপাত পিলের জনক হিসাবেও পরিচিত।
২০০০ সালে সম্পূর্ণরূপে গৃহীত
এই বড়ি আবিষ্কারকারী ডাঃ বুলিউ লাস্কর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সবচেয়ে বড় পুরস্কার। গর্ভনিরোধক পিল উদ্ভাবনের সময় অনেক বিরোধিতা হয়েছিল। গর্ভপাত অধিকার সমর্থকরা ডাক্তারের এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত মহৎ আখ্যা দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ বুলিউকে হিটলার বলে অভিহিত করছেন। এই ওষুধটি ২০০০ সালে কিছু শর্তাবলী সহ সম্পূর্ণরূপে অনুমোদিত হয়েছিল।
গর্ভনিরোধক পিলের অসুবিধা
বর্তমানে এটি এমন একটি প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধে নারীদেরই প্রথম উদ্যোগ নিতে হবে। এই কারণেই বেশিরভাগ মহিলারা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করেন, তবে এই বড়িগুলি শরীরের উপর বিভিন্ন উপায়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখায়। এসব বড়ি যোনিপথে রক্তপাত ঘটায়। এর ব্যবহারে বমি বমি ভাব, বমির মতো অনেক সমস্যা দেখা যায়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment