বৃদ্ধ বয়সে মহিলাদের হাড় সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হয়। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে তাদের খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর পানীয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
শরীরকে সুস্থ রাখতে হাড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরো শরীরকে সুস্থ করার সময় হাড়কে উপেক্ষা করা আপনার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। হাড় মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন, এর পাশাপাশি অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজও গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হাড়ের সমস্যা বেশি দেখা যায়। মহিলাদের ৩৫ বছর বয়সের পরে তাদের হাড়কে শক্তিশালী করতে তাদের ডায়েটে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার এবং পানীয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা না হলে হাড় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। যার কারণে ভবিষ্যতে আপনার আরও ফ্র্যাকচারের সমস্যা হতে পারে। আসুন জেনে নিই মহিলাদের হাড় মজবুত করার জন্য খাদ্য তালিকায় কোন কোন পানীয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
দুধ পান করা শুরু করুন
ঘর-অফিসের দায়িত্বে নারীরা নিজেদের দিকে মনোযোগ দেন না। যার কারণে তারা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকে। কিন্তু আপনি যদি কোনো ধরনের ঝামেলা এড়াতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন। শৈশবে দুধ পানের অভ্যাস, যা আপনি ছোট বেলায় ছেড়ে দিয়েছিলেন, তা পুনরায় গ্রহণ করে আপনি আপনার হাড়কে শক্তিশালী করতে পারেন।
দই
দই ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস হিসেবেও পরিচিত। নিয়মিত দই খেলে হাড়ের সমস্যা হয় না। দইয়ে এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায় যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এর সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির সমস্যাও হয় না।
স্পিনাচ স্মুদি
পালং শাকের স্মুদি পান করে আপনার হাড় মজবুত করতে পারেন। শীত মৌসুমে পালং শাক সহজেই পাওয়া যায়। পালং শাক ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস। পালং শাকেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা আপনাকে রক্তশূন্যতা থেকে রক্ষা করে।
আলুবুখারা ব্যবহার করুন
• আলু বুখারা বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। আপনি এটি শুকিয়ে বা না শুকিয়ে খেতে পারেন। কেউ কেউ এর রস তৈরি করে পান করতেও পছন্দ করেন। আলু জ্বর সেবনে অস্টিওপোরোসিস নামক হাড়ের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আসলে, আলুর জ্বরে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা আপনার হাড়কে মজবুত করে। আলু খাওয়া জ্বর এমনকি বাতের রোগেও ভালো বলে মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment