হিন্দু ধর্মে গরুড় পুরাণের অনেক ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। এটি সনাতন ধর্মের ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। এই পুরাণে ভগবান বিষ্ণু এবং তাঁর বাহন গরুড়ের মধ্যে কথোপকথন বর্ণনা করা হয়েছে। এতে জীবন-মৃত্যু সংক্রান্ত অনেক রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। যদিও হিন্দু ধর্মে কারো মৃত্যু হলে গরুড় পুরাণ পাঠ করা হয়, তবে এতে মানুষের জীবন সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হলে সেই ব্যক্তিকে সফলতা অর্জন থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।
সনাতন ধর্মে একাদশীর উপবাসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। গরুড় পুরাণ অনুসারে, যে ব্যক্তি পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান সহকারে একাদশীর উপবাস করেন এবং তিনি পূর্বজন্মের পাপ থেকে মুক্তি লাভ করেন, সেই সঙ্গে সাফল্য লাভে সহায়তা পান।
তুলসীকে হিন্দু ধর্মে একটি অত্যন্ত শুভ উদ্ভিদ বলে মনে করা হয়। এতে অনেক ধরনের ঔষধি গুণও রয়েছে। এমন অবস্থায় প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভগবান বিষ্ণুকে তুলসী পাতা নিবেদন করুন, তারপর সেই পাতাগুলি সেবন করুন। এর কারণে একজন ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে, যা সাফল্য পেতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গরুড় পুরাণ অনুসারে, মা লক্ষ্মী পরিচ্ছন্নতা খুব পছন্দ করেন। এমন পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তির জীবনে পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ । প্রতিদিন স্নান করুন এবং তারপর পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। যেখানে নোংরার আবাস থাকে সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মী থাকেন না।
গরুড় পুরাণ অনুসারে যে কোনও নতুন কাজ ইতিবাচক চিন্তা করে শুরু করা উচিৎ । নেতিবাচক চিন্তা নিয়ে শুরু করা কাজে ব্যর্থতার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে, আপনার উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত এমন বন্ধু বা লোকদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
খাওয়ার সময়, একজন ব্যক্তির মনে রাখা উচিৎ যে এর পরিমাণ সর্বদা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিৎ । ভারসাম্যহীন খাবার পরিপাকতন্ত্রকে নষ্ট করে দেয় এবং এর কারণে জন্ম হতে পারে নানা রোগ। এমন অবস্থায় ক্ষুধার তুলনায় একটু কম খান।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment