মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে খিচুড়ি তৈরির রীতি রয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ভারতে এই দিনে অবশ্যই খিচুড়ি তৈরি হয়। আজও যখন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা আসে, প্রথমেই যেটা মনে আসে তা হল ডাল ও চালের তৈরি খিচুড়ি। কিন্তু, কখনও ভাবছেন কি খিচুড়ির মতো স্বাস্থ্যকর খাবারের সূচনা কীভাবে হল? কীভাবে এটা দেশের অধিকাংশ মানুষের পছন্দ হয়ে উঠল? জানেন কি এই খিচুড়িরও রয়েছে ইতিহাস? এই প্রতিবেদনে জেনে নিন সেই সম্পর্কে-
খিচুড়ির ইতিহাস
খিচুড়ি শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'খিচ্ছা' থেকে, যার অর্থ চাল এবং মটরশুঁটি দিয়ে তৈরি একটি খাবার। খিচুড়ি চাল ও মসুর ডাল দিয়ে তৈরি করা হয়। হিন্দু সংস্কৃতিতে এটি শিশুদের খাওয়া প্রথম কঠিন খাবারের একটি হিসাবে পরিচিত। এর ইতিহাস প্রায় ২৫০০ বছরের পুরনো। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, প্রায় ২৫০০ বছর ধরে ভারতে খিচুড়ি খাওয়া হয়ে আসছে। মুঘলদের অধীনেই খিচুড়ি উপমহাদেশে প্রসিদ্ধি লাভ করে।
১৪ শতকে মরক্কোর পর্যটক ইবনে বতুতা, ১৫ শতকে রুশ পরিব্রাজক আফানাসি নিকিতিন এবং ১৬ শতকে আবুল ফজল তাদের নথিতে খিচুড়ির উল্লেখ করেছেন।
খিচুড়িতে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়?
খিচুড়িকে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভিটামিন, ফাইবার এবং পটাসিয়ামের মতো অনেক উপাদান এতে পাওয়া যায়। হালকা খাবার হওয়ায় এটি দ্রুত হজম হয়। এ কারণে চিকিৎসকরাও রোগীদের খিচুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
জেনে নিন খিচুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
নিয়মিত খিচুড়ি খেলে বাত, পিত্ত ও কফের দোষ দূর হয়। খিচুড়ি শুধু শরীরে শক্তি যোগাতেই কাজ করে না, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে। এটি ওজন কমাতেও সহায়ক এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। খিচুড়ি বাত, পিট্টা এবং কফ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি আমাদের শরীরকে ডিটক্সও করে।
(এই নিবন্ধে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করার পরেই যে কোনও নতুন জিনিস গ্রহণ করুন।)
No comments:
Post a Comment