১৪ দিন পর পুকুরে মিলল রুবিকার কাটা মুন্ডু।ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে স্বামীর নির্মমতার শিকার রুবিকা পাহাড়ির বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পাওয়া গেছে কাটা মুন্ডু। ১৪ দিন আগে স্বামীসহ সহযোগীদের হাতে খুন হন রুবিকা। এরপর অভিযুক্ত স্বামী মৃতদেহটি ২০ টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়। মামলাটি সাহেবগঞ্জের বরি থানা এলাকায়। এখন পর্যন্ত তদন্তে পুলিশ রুবিকার দেহের ১৮ টুকরো উদ্ধার করেছে, মাথাসহ দুটি টুকরো খোঁজা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার কয়েকজন জেলে পুকুরে মাছ ধরতে নামেন। এসময় তারা পুকুরের ভেতর থেকে এক নারীর মাথা দেখতে পান। শনাক্তের পর দেহ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সাহেবগঞ্জের বোরিও সাঁওতালী মৌজার পুরাতন শিবালয়ের পুকুর থেকে পাওয়া এই মাথাটি রুবিকা পাহাড়ি মাথা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মাথা শনাক্ত করেছেন রুবিকার বড় বোন শিলা পাহাড়ি। যদিও পুলিশ মাথাটি উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে। এ জন্য রুবিকার মা চন্ডী পাহাড়ি ও বাবা সুরজা পাহাড়ির রক্তের নমুনা নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া মাথাটি একজন নারীর, তবে তা রুবিকার কিনা তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এফএসএল রিপোর্ট পাওয়ার পরও পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য রুবিকার বাবা-মায়ের রক্তের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এফএসএলে পাঠানো হয়েছে।
তথ্যমতে, মাছ ধরার সময় জেলেরা যে মাথার খুলি পেয়েছিলেন, তার কানে দুল রয়েছে। খবর পেয়ে রুবিকার বোন পৌঁছে এসব কানের দুল দেখে শনাক্ত করেন। জানালেন, এই খুলিটি কেবল তাঁর বোনের। রুবিকা নামে এক আদিবাসী মেয়েকে খুন করেছিল তার স্বামী দিলদার আনসারি। খুনের পর সে তার বাবা মুস্তাকিম, মা মরিয়ম খাতুন, প্রথম স্ত্রী গুলেরা আনসারী, ভাই আমির আনসারী, মাহতাব আনসারী, বোন সারেজা খাতুন প্রমুখের সাথে তার দেহ ২০ টুকরো করে এখানে-ওখানে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
No comments:
Post a Comment