উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের পরিস্থিতি এখনও সংকটে। বাড়িঘর, ভবন ও হোটেলে ফাটল ধরার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তলিয়ে যাওয়ায় এ পর্যন্ত ৮৪৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে জোশীমঠের সামনে আবহাওয়াও বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন জোশীমঠে তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জোশীমঠের বাসিন্দাদের জন্য বিপদ আরও বাড়তে পারে।
জোশীমঠে ৪ দিনের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তুষারপাতের পাশাপাশি তিন দিন হালকা বৃষ্টি হতে পারে। অতীতেও বৃষ্টি হলে জোশীমঠের বাসিন্দারা অনেক সমস্যায় পড়েন, কারণ বহু মানুষ ছাদ ছাড়াই থাকতে বাধ্য হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৩ জানুয়ারির পর তুষারপাত বাড়তে পারে।
জোশীমঠে যদি টানা ৪-৫ দিন তুষারপাত হয়, তাহলে যেসব বাড়িঘর ও ভবনের ভার বহন করার ক্ষমতা নেই, সেগুলো ধসে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জোশীমঠে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ হতে পারে। তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে ঘরবাড়ির ফাটল আরও গভীর হতে পারে এবং ভূমি ধসের আশঙ্কাও বাড়বে।
প্রশাসন সব বাড়িতে ক্র্যাক মিটার বসিয়েছে এবং সব বাড়িতে নজরদারি করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানুষ অনিরাপদ বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অনেক দোকানও খালি করতে বলা হয়েছে। প্রশাসন এই সব মানুষকে প্রি-ফেব্রিকেটেড বাড়িতে স্থানান্তর করছে। প্রশাসন আরও বেশি করে প্রি-ফেব্রিকেটেড বাড়ি তৈরির চেষ্টা করছে কারণ এখন হোটেলগুলিতেও ফাটল দেখা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রশাসন নিরাপদ ভবনগুলোও চিহ্নিত করেছে, যেখানে প্রতিনিয়ত লোকজনকে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার, চামোলি জেলা প্রশাসন একটি বুলেটিন জারি করেছে যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সংখ্যা ২৮৮ থেকে বেড়ে ৮৪৯ হয়েছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, রবিগ্রাম ওয়ার্ডে অধিকাংশ (১৬১) বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর পরে গান্ধীনগরের সংখ্যা (১৫৪ ঘর), যেখান থেকে সর্বাধিক বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment