দুর্যোগ-কবলিত জোশীমঠের পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে উত্তরাখণ্ডের ছোট পাহাড়ি শহরের বাসিন্দারা এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী নয় এবং কেন্দ্রের দায় নেওয়া উচিৎ। জনগণের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধকালীন পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, "সরকারের অনেক আগেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ ছিল কারণ জমি হ্রাসের পূর্বাভাস আগেই করা হয়েছিল।"
জোশীমঠের ধানসানের ঘটনার পরেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জোশীমঠে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া এবং পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার রাণীগঞ্জ কয়লাক্ষেত্রও জোশীমঠের মতো একই পরিণতি পেতে পারে কারণ এই অঞ্চলটিও তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা ১০ বছর ধরে সরকারের সঙ্গে লড়াই করছি। কোল ইন্ডিয়ার জন্য যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তা আজ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতির কারণে রানিগঞ্জেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৩০ হাজার মানুষ। রাণীগঞ্জ কয়লা খনির এলাকা কয়লা খনি ব্যবহারের পর সেগুলো খালি রেখে সেগুলো বালু দিয়ে ভরাট করা হলেও এর পরও ক্রমাগত তলিয়ে যাওয়ার অবস্থা চলতে থাকে।কয়লা খনির কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পুনর্বাসনের প্রস্তাব করেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যখন সম্ভাব্য ভূমিধসের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল, তখন কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? জোশীমঠের পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। তবে এর জন্য পাহাড়ি শহরের বাসিন্দারা দায়ী নয়। কোনও দুর্যোগ হলে জনগণের দেখভাল করা সরকারের দায়িত্ব।” তিনি বলেন, “জনগণ যাতে দুর্ভোগে না পড়ে সেজন্য সরকারকে যুদ্ধের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
No comments:
Post a Comment