আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্র চাণক্য নীতিতে এমন কিছু কথা বলেছেন, যা অনুসরণ করে একজন ব্যক্তি সর্বদা সুখী জীবনযাপন করেন।
সুখী জীবন যাপনের জন্য একজন মানুষের কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা খুবই জরুরী, তা না হলে একটা ছোট ভুলও ভারী হতে পারে। আচার্য চাণক্য চাণক্য নীতিতে এমন কিছু বিষয়ের কথা বলেছেন, যা অনুসরণ করে একজন ব্যক্তি সুখী জীবনযাপন করে। তাকে অনেক সমস্যা থেকে বাঁচায়। তাকে এবং তার পরিবারের সম্মান নিয়ে আসে। আমরা আচার্য চাণক্যের বলা এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানবো, যা এড়িয়ে গেলে একজন মানুষের জীবন সুখী হয়।
প্রলোভন এড়ানো কষ্ট এড়ায়
যস্য স্নেহো ভয়ান তস্য স্নেহো দুঃখস্য ভজনম্।
স্নেহমূলনি দুঃখনি তানি ত্যক্তব বাসেতসুখম।।
চাণক্য নীতিতে উল্লিখিত এই শ্লোকের অর্থ হল, যে জিনিসটির প্রতি মানুষের সবচেয়ে বেশি অনুরাগ থাকে, সেই জিনিস বা পাত্রই তার দুঃখের সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে ওঠে। সেজন্য কোনো কিছু বা ব্যক্তির প্রতি এতটা সংযুক্ত হওয়া উচিৎ নয়।
সারা জীবন দুঃখে কাটে
চাণক্যের নীতি অনুসারে, যখন কোনও ব্যক্তি প্রয়োজনের তুলনায় কোনও বস্তু বা ব্যক্তির প্রতি বেশি অনুরক্ত হয়ে পড়ে, তখন সে দুঃখের পথ বেছে নেয়। যখন কিছু বা ব্যক্তির প্রতি খুব বেশি স্নেহ থাকে, তখন এটি দুঃখের কারণ হয়। সেই ব্যক্তি বা প্রাণীর কাছ থেকে দূরে থাকা বা তাকে হারিয়ে ব্যক্তিটি খুব দুঃখিত হয়। একইভাবে, সেই জিনিসটি হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও সে খুব দুঃখ পায়। সেজন্য একজন ব্যক্তির কোন কিছু বা প্রাণীর প্রতি এতটা আসক্ত হওয়া উচিৎ নয় যে সে তার থেকে দূরে থাকলে বা তার কর্তব্য থেকে সরে গিয়ে দুঃখে ডুবে যায়। এই ধরনের পরিস্থিতি সেই ব্যক্তির পতনের কারণ হয়। তাই একজন মানুষ আসক্তির ফাঁদ থেকে দূরে থাকাই ভালো, তবেই সে সুখী জীবনযাপন করতে পারে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment