'দিদির দূত' হয়ে গ্ৰামে গিয়ে জনতার রোষে পড়লেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় এবং দলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। একাধিক অভিযোগ তুলে দিদির দূতকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্ৰামবাসীরা। 'দিদির দূতেরা গ্রামে ভূত দেখছে', কটাক্ষ বিজেপির।
সূচি অনুযায়ী শুক্রবার বীরভূমের হাসান বিধানসভার মেলেরডাঙ্গা গ্রামে যান শতাব্দী রায়। বীরভূমের সাংসদের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় লোকজন। পাশাপাশি শতাব্দী রায়কে ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের মতে, মেলেরডাঙ্গা থেকে মাড়গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পূরণ হয়নি, যার কারণে গ্রামবাসীদের মাড়গ্রাম হয়ে রামপুরহাটে যেতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এছাড়াও আবাসন প্রকল্প, বয়স্ক ভাতা না পাওয়া এবং সরকারি প্রকল্পে নাম না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
প্রতিবাদের মুখে শতাব্দী রায় বলেন, “অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, তারা আবাসন প্রকল্প, বয়স্ক ভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারেও কেউ কেউ সরকারি সুবিধা পাননি। আমি তাদের সম্পর্কে শুনেছি। সবকিছু যেমন ছিল তেমনই হবে। সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।"
অন্যদিকে, যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুখুটিয়া গ্রামে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। আবাসন প্রকল্পের তালিকায় নাম না থাকায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন দেবাংশু।
এদিকে এই পুরো বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “দিদির দূতেরা গ্রামে ভূত দেখছে! ১২ বছর ক্ষমতায় থেকেও কোনও উন্নতি করতে পারেনি তৃণমূল। এ কারণে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে।”
No comments:
Post a Comment