'চুরি ঢাকতে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে', দিদির দূত খাদ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে এলে ব্যক্তিকে সপাটে চড় মারার অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলকে এভাবেই নিশানা করলেন বিজেপি নেতা তাপস মিত্র। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসকে চওড়া আক্রমণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম বিধানসভার অধীন, ইছাপুর নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্দিরে পুজো দিয়ে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরু করেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। অভিযোগ, সেই সময় খাদ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে এলে ব্যক্তিকে সপাটে চড় মারা এবং ধাক্কাধাক্কি করা হয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। পাল্টা তাঁদের দাবী, ব্যক্তিগত ঝামেলা হচ্ছিল গাছ কাটা নিয়ে, নিজেরাই মারপিট করে দলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। কার্যত একই সুর শোনা গিয়েছে মন্ত্রীর গলাতেও। তবে বিষয়টি মোটেও হালকা ভাবে নেয়নি পদ্ম শিবির, করা ভাষায় শাসক দলকে নিশানা করেছেন বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র।
তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, 'খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। দিদির দূত কর্মসূচির আড়ালে পুলিশকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে তারা গুন্ডামি করছে। আসল ঘটনা যেন মানুষের সামনে না আসে তার জন্য কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি।'
পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, 'আজ পুলিশকে নিয়ে তারা একটা চড় মারছে, আগামী দিনে দিদির এই দূতেরা দশটা চড় খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন গ্ৰামবাসীদের কাছে।' বিজেপি নেতার সংযোজন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা থেকে শুরু করে সড়ক যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা যেভাবে লুট করেছে, সেই চুরি ঢাকতে তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এই ঘটনার নিন্দা সর্বস্তরে হওয়া উচিৎ। মুখ্যমন্ত্রীকে আমি প্রশ্ন করতে চাই, এর উদ্দেশ্যটা আসলে কি?"
'সাধারণ মানুষ আজ তৃণমূলকে মেনে নিতে পারছে না, তারা যেখানেই যাবে, সেখানেই বিক্ষোভের মুখে পড়বে, তাই কণ্ঠরোধ করার জন্য এই চিন্তা-ভাবনা। এর তীব্র নিন্দা হওয়া দরকার', দাবী বিজেপি নেতার।
No comments:
Post a Comment