রাজ্যের কেশপুর এলাকা তৃণমূলের শক্তিশালী ঘাঁটি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর ও কেশপুরে দলীয় নেতাদের দলাদলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় সমাবেশ আগামী 4 ফেব্রুয়ারি কেশপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে দলের বড় নেতারা চান নেতারা যেন অহেতুক কথাবার্তা ও একে অপরের ওপর হামলা থেকে দূরে থাকেন। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের সিনিয়র নেতা মানস ভূঁইয়া।
4 ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সমাবেশের আগে, এই অঞ্চলের সিনিয়র পার্টি নেতা মানস ভুঁইয়া স্থানীয় পার্টি কর্মীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সমাধানের জন্য সতর্ক করেছেন। মানস ভুঁইয়া দলীয় কর্মীদের বলেন, ভালো ভাবমূর্তি বজায় রাখা জরুরি উল্লেখ করে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দিয়ে, প্রবীণ তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়া অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সমাবেশের প্রস্তুতিকে সম্পূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।তিনি বলেন, “যদিও এটা দুর্ভাগ্যজনক, মাঝে মাঝে বড় পরিবারে ঝগড়া হয়। কেশপুর একটি বড় এবং শক্তিশালী দুর্গ। আজ আমরা একসাথে স্লোগান তুলেছি এখন অনেক হয়েছে। কেশপুর হবে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ও আন্দোলনমুখী।"
তিনি বলেন, “আমরা একে অপরের সঙ্গে নয়, জনগণের জন্য লড়াই করব। আমাদের লড়াই হবে সিপিআই (এম) এবং বিজেপির বিরুদ্ধে। কোনো নেতা ভুল করলে তাকে রেহাই দেওয়া হবে না। কেউ দলকে অপমান করলে তাকে রেহাই দেওয়া হবে না এবং এটাই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। দলের নির্দেশ কেউ অমান্য করলে তাকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে একটি বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতারা। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি কেশপুরের আনন্দপুর স্কুল মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, আনন্দপুর ও কেশপুরের নেতাদের মধ্যে দলাদলি পুরোদমে চলছে এবং দলের সঙ্গে তা ভালো যাচ্ছে না। নেতাকর্মীরা একে অপরের ওপর হামলার ঘটনায় গত দুই মাসে এলাকায় বেশ কয়েকটি সংঘর্ষ হয়েছে।
No comments:
Post a Comment