মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব। তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার তহবিল দিচ্ছে না, কিন্তু রাজ্য সরকার ভিক্ষা করবে না। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য থেকে কর আদায় করছে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি তহবিল না দেয়, তাহলে দেখব।" তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার যদি তহবিল না দেয়, তাহলে আমরা দেব।" আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিএম মোদীর নাম না নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, "কুকুর কামড়ালে আমরাও কি কামড়াব?" বিজেপিকে বহিরাগত বলে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, "আমাদের সাথে যেই টক্কর দেবে সে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।"
তিনি বলেন, "সবার মধ্যে শুধু তার মুখই থাকে। রেশন থেকে শুরু করে সব জায়গায় একই চেহারা দেখা যাচ্ছে। যদি কারও মুখ সর্বত্র দেখা যায়, তবে মৃত্যুর পরেও একই মুখ দেখা যায়।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্য সরকার পাচ্ছে 6000 কোটি টাকা। রাজ্য সরকার 40 লক্ষ জব কার্ড দিয়েছে। 100 দিনের কাজ হয়েছে, দেবে না। এটা তাদের টাকা নয়। রাজ্য সরকার কর আদায় করে না। কর আদায় কেন্দ্রীয় সরকার করে। রাজ্য সরকার পায় 60 শতাংশ। এখানে আয়কর ও শুল্ক আদায় ও অভিযান চালানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকার সব টাকা নিচ্ছে, টাকা দিচ্ছে না।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি ভিক্ষা চান না। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভিক্ষা চাইবে না। ভিক্ষা চাইলে রাজ্যের মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইবে।
তিনি বলেন, "রাজ্যে যখন চকোলেট বোমা বিস্ফোরিত হয়, তখন কেন্দ্র থেকে দল পাঠানো হয়। হাইকোর্টে গণ্ডগোল হলে বার কাউন্সিলের দল আসে। কলকাতা হাইকোর্টে কোনও বিরোধ থাকলে তা মেটাবেন প্রধান বিচারপতি।" তিনি বলেন, "কিছু হলে কোনও দল উত্তরপ্রদেশে যায় না।" তিনি বলেন, "বাংলায় যাই ঘটুক, কেন্দ্রীয় দল আসে। নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পূরণ হয় না।" তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে পর্যটনের বিকাশ ঘটেছে।
তিনি বলেন, "দিল্লির লাড্ডু এনে দেওয়া হয়, কিন্তু কী দিচ্ছে? বাইরে থেকে লোকজন এসে ষড়যন্ত্র করছে।" তিনি বলেন, "হাসিমারায় বিমানবন্দর নির্মাণ করতে হবে। কোচবিহার বিমানবন্দরের জন্য 300 কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মালদায় হচ্ছে। পুরুলিয়াতেও সমীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি চান উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন হোক এবং উত্তরবঙ্গে পর্যটনের বিকাশ হোক।"
No comments:
Post a Comment