বাংলায় প্রায় প্রতিটি জেলা ও ব্লকে নেতাজির জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে নেতাজির মূর্তির পুষ্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে ফরোয়ার্ড ব্লক ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। উভয় পক্ষের সমর্থকরা একে অপরের উপর লাঠি বর্ষণ করে। ফরওয়ার্ড ব্লক ও তৃণমূল সমর্থকদের আহত হওয়ার খবর রয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে রানি নগর বিধানসভার মোড়ে নেতাজির একটি মূর্তি রয়েছে। মূর্তির মালা কে অর্পণ করবে তা নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এ দিন সকালে মূর্তিটিতে মালা দিতে গিয়েছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক ও কর্মীরা বলে অভিযোগ। সেই কারণেই তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। তখনই তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এই তর্ক সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয় পক্ষ একে অপরকে আক্রমণ শুরু করে। এই ঘটনায় ফরওয়ার্ড ব্লকের তিন সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে উত্তেজনার কারণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জন্মদিন পালনের কর্মসূচি বাতিল করা হয়। ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মীরা জানিয়েছেন, তৃণমূল সমর্থকরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছে যায় পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি।
এই প্রসঙ্গে রানি নগর তৃণমূল বিধায়ক সৌমিক হুসেন বলেন, “আমরা সবাই সুস্থ ভাবে নেতাজির জন্মদিন পালন করতে চেয়েছিলাম। সেটা যেকোনও রাজনৈতিক দলেরই হোক। নেতাজির জন্মবার্ষিকী পালন করার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু তারা এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। সব জায়গায় রাজনীতি করা উচিৎ নয়। আমরা কাউকে মারধর করিনি। আমরা যদি মারামারি করে থাকি, তাহলে অনুষ্ঠানে গিয়ে বাঁশ নিয়ে যায় কেন?"
অন্যদিকে, ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বাস চক্রবর্তী বলেন, “আমরা প্রতিবারই নেতাজির জন্মদিন পালন করি। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একই ধরনের মিছিল করেছি। ইতিমধ্যেই সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। রানিনগর ব্লক সভাপতি নেতাজুল ইসলাম সরাসরি আমাদের দলের সদস্যদের আক্রমণ করেছেন। ফরওয়ার্ড ব্লক পার্টি সুভাষ চন্দ্র বসু নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দলটি প্রতি বছর সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী পালন করে।"
No comments:
Post a Comment