ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বলা হয় বিবাহিত মহিলারা হাতে চুড়ি পরলে স্বামীর বয়স বেড়ে যায়। বাস্তুশাস্ত্রেও চুড়ি পরার অনেক উপকারিতা বলা হয়েছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে চুড়ির ঝাঁকুনি থেকে নির্গত শব্দ ঘরে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে এবং ঘরে সুখ ও শান্তি বৃদ্ধি করে।
চুড়ি ধর্মীয় বিশ্বাস: হিন্দু বিশ্বাসে মহিলাদের জন্য ১৬টি অলঙ্করণ নির্ধারিত রয়েছে। সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র ছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে চুড়ি। যদিও সময় বদলেছে এবং মানুষের পোশাক-আশাকের পরিবর্তন এসেছে, তবুও চুড়ির প্রবণতা বিলুপ্ত হয়নি। এগুলো এখনও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, বিয়ের পর মহিলাদের হাত খালি রাখা উচিৎ নয়। তার মানে তাদের হাতে চুড়ি পরা উচিৎ । এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি বিবাহিত জীবনকে সুখী করে এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম বৃদ্ধি করে।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখি, তাহলে বলা হয় বিবাহিত মহিলারা হাতে চুড়ি পরলে স্বামীর বয়স বাড়ে। বাস্তুশাস্ত্রেও চুড়ি পরার অনেক উপকারিতা বলা হয়েছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে চুড়ির ঝাঁকুনি থেকে নির্গত শব্দ ঘরে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে এবং ঘরে সুখ ও শান্তি বৃদ্ধি করে।
হিন্দু রীতি অনুযায়ী, যে ঘরে মহিলারা চুড়ি পরেন সেখানে কোনও কিছুরই অভাব নেই। আর্থিক সীমাবদ্ধতাও মাথা ঘামায় না। এ ছাড়া বুধ গ্রহের কৃপা যদি জল হয় তবে মহিলাদের জন্য চুড়ি পরা সৌভাগ্যবান বলে বিবেচিত হয়।
রীতিনীতিতে যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়, তার পেছনে অবশ্যই কোনো না কোনো বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুড়ি পরলে মহিলাদের হার্ট ও শ্বাসকষ্টের রোগ কম হয়। তার মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কব্জির প্রায় ৬ ইঞ্চি নিচে আকুপ্রেসার পয়েন্ট রয়েছে, যেগুলো একসঙ্গে চেপে ধরলে শরীরের অনেক রোগ সেরে যায়। এটাও বলা হয় যে চুড়ি পরলে চামড়া এবং তাদের মধ্যে ঘর্ষণ হয়। এটি একটি শক্তি দেয়। এই শক্তি রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কারণে মহিলারা চুড়ি পরলে বেশি শক্তি অনুভব করেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment