গরুর কৃত্রিম প্রজনন একটি পদ্ধতি যেখানে একটি সুস্থ পুরুষ গরুর বীর্য কৃত্রিমভাবে স্ত্রী গরুর গর্ভে স্থাপন করা হয়। বীর্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয় এবং বহু বছর ধরে তরল নাইট্রোজেনে সংরক্ষণ করা যায়। এই জমে থাকা বীর্য নারী গরুর জরায়ুতে রেখে তার গর্ভধারণ করানো হয়। গর্ভধারণের এই প্রক্রিয়াটিকে কৃত্রিম প্রজনন বলা হয়।
কৃত্রিম গর্ভধারণের সুবিধা
প্রাকৃতিক গর্ভধারণের তুলনায় কৃত্রিম প্রজননের অনেক সুবিধা রয়েছে। কৃত্রিম প্রজননের জন্য অনেক দূরে, এমনকি অন্যান্য দেশে রাখা উন্নত জাতের পুরুষ গরুর বীর্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই পদ্ধতিতে উন্নত গুণসম্পন্ন বৃদ্ধ বা অসহায় ষাঁড়ের পাশাপাশি উৎকৃষ্ট ও ভালো গুণসম্পন্ন ষাঁড়ও সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে একটি ষাঁড় বছরে ৬০ থেকে ৭০টি গরু বা মহিষকে গর্ভধারণ করতে পারে, যেখানে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে একটি ষাঁড়ের বীর্য দিয়ে বছরে হাজার হাজার গরু ও মহিষকে গর্ভধারণ করানো যায়।
এই পদ্ধতিতে একটি ভাল ষাঁড়ের বীর্য তার মৃত্যুর পরেও ব্যবহার করা যায় এবং এই পদ্ধতিতে অর্থ ও শ্রমও বাঁচে।
এই পদ্ধতিটি প্রাণীদের প্রজনন সম্পর্কিত রেকর্ডগুলিকে একত্রিত করতে সহায়তা করে এবং এই পদ্ধতির মাধ্যমে পুরুষ থেকে মহিলা এবং মহিলা থেকে পুরুষে ছড়ানো সংক্রামক রোগগুলিও এড়ানো যায়।
কৃত্রিম গর্ভধারণের পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা
কৃত্রিম গর্ভধারণের জন্য একজন প্রশিক্ষিত পশুচিকিৎসক প্রয়োজন, যিনি স্ত্রী গরুর প্রজনন অঙ্গ সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখেন।
এই পদ্ধতিতে বিশেষ সরঞ্জাম প্রয়োজন এবং আপনি যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন না নেন তবে গর্ভাবস্থায় বিলম্ব হতে পারে।
কৃত্রিম গর্ভধারণের সময় সতর্কতা
স্ত্রী গরুকে মাসিক চক্রে থাকতে হবে এবং কৃত্রিম প্রজনন করার আগে বন্দুকটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
No comments:
Post a Comment