প্রতিদিন তবে বিশেষ করে মঙ্গলবার ভক্তি যুক্ত মনে হনুমানের পূজো করলে বজরঙ্গবলীর কৃপায় সমস্ত দুঃখ দূর হয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন আটটি দিব্য সিদ্ধি দ্বারা হনুমান সর্বশক্তিমান হন-
আটটি দিব্য সিদ্ধি:
অনিমা সিদ্ধি - অনিমা মানে শরীরকে একটি পরমাণুর চেয়ে ছোট করা। এই সিদ্ধির কারণে হনুমান ক্ষুদ্র আকারে যে কোনও জায়গায় ভ্রমণ করতে পারতেন। এই ক্ষুদ্র রূপের জোরে লঙ্কা পরিদর্শন করেন তিনি।
১.মহিমা সিদ্ধি :
মহিমা অণিমার বিপরীত। এই সিদ্ধির শক্তিতে, তিনি বিশাল রূপ ধারণ করতে পারেন। একবার সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় এই মহিমা সিদ্ধি ব্যবহার করেন সুরসা নামক অসুরের সামনে এবং দ্বিতীয়বার অশোক ভাটিকায় মা সীতার সামনে।
২.গরিমা সিদ্ধি :
গরিমা সিদ্ধি দিয়ে শরীর অসীম ভারী করা যায়। হনুমান এই সিদ্ধি ব্যবহার করে ভীমের অহংকার ভেঙ্গে ছিলেন।
৩.লঘিমা সিদ্ধি:
এই সিদ্ধির সাহায্যে হনুমান তুলোর মতো নিজের ওজন হালকা করতেন। লঘিমা এবং অনিমা ব্যবহার করে, হনুমান অশোক ভাটিকার পাতায় বসে মা সীতাকে নিজের পরিচয় দেন।
৪.প্রাপ্তি সিদ্ধি :
এই সিদ্ধি বাকহীন পাখিদের ভাষা বুঝতে এবং ভবিষ্যত দেখতে সহায়ক।
৭. প্রাকাম্য সিদ্ধি :
এই সিদ্ধির শক্তি দিয়ে পৃথিবী থেকে পাতাল পর্যন্ত গভীরতা পরিমাপ করা যায়। যে কোনও শরীরের রূপ নিতে, নিজেকে তরুণ রাখা যায়।
৭.ঈশিত্ব সিদ্ধি:
এই সিদ্ধির সাহায্যে হনুমান দৈবশক্তি লাভ করেন।
৮.বশিত্ব সিদ্ধি :
এই সিদ্ধির প্রভাবে ইন্দ্রিয় ও মনকে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment