দিল্লীর আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে সিবিআই রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সিবিআই বিশেষ সিবিআই বিচারক এম কে নাগপালকে মনীশ সিসোদিয়ার পাঁচ দিনের হেফাজতে চেয়েছে।
উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর বিশেষ আদালত সিসোদিয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে, সিবিআই আদালতকে বলেছিল যে মনীশ সিসোদিয়া আবগারি নীতি মামলার এক নম্বর অভিযুক্ত। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।
মনীশ সিসোদিয়ার আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণান বলেছেন যে সিবিআই সিসোদিয়ার কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত উত্তর চাইছে। সিসোদিয়া যেভাবে চান সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না। তদন্তে যতটুকু সহযোগিতার কথা, সিসোদিয়া সহযোগিতা করেছেন। তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তাদের ফোন এজেন্সির কাছে আছে। এখন সংস্থাটি বলছে যে সিসোদিয়া এলোমেলো উত্তর দিচ্ছেন। তার এই অধিকার আছে। একজন ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার আছে।
আট ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার সিবিআই গ্রেপ্তার করে সিসোদিয়াকে। রাতে গ্রেফতার হওয়া মনীশ সিসোদিয়াকে সিবিআই সদর দফতরে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে সোমবার তাকে বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়।
অন্যদিকে সোমবার সকাল থেকেই দিল্লীতে বিক্ষোভ শুরু করেন আম আদমি পার্টির কর্মীরা। দিল্লী পুলিশ এবং আপ কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ হয়। দিল্লী ও ভোপাল ছাড়াও কলকাতায় বিজেপি অফিসের সামনেও বিক্ষোভ দেখান আপ কর্মীরা। দিল্লীতে আপ নেতা অতীশি অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ অফিসে ঢুকে জোর করে কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। একই সঙ্গে দিল্লীতে সিবিআই ও বিজেপি অফিসের বাইরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার আপ নেতার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। তিনি বলেন, "মনীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করা মোদী সরকারের কাপুরুষতার পরিচয়। এটা তার কাপুরুষোচিত কাজ আর অন্যদিকে মোদীজির বন্ধু আদানি লাখ লাখ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি করেছে কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।"
দিল্লীর আবগারি নীতি মামলায় রবিবার উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। সিসোদিয়ার আগে এক ডজনেরও বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। মনীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারের পর ফের আলোচিত দিল্লীর মদ কেলেঙ্কারি।
No comments:
Post a Comment