এক মাসের পরিশ্রমের পর যখন বেতন আসে, তখন তা গৃহস্থালির খরচে ব্যয় হয়। বেতন আসতেই খরচের লম্বা তালিকা তৈরি হয়। অনেক সময় বেতন আসার সাথে সাথে কোথায় যায় তা জানা যায় না। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বেতনের এই প্রতিকার একজন মানুষকে উন্নতির পথে নিয়ে যায়।
সারা মাস কঠোর পরিশ্রমের পর মাস শেষে তাদের বেতনের জন্য অপেক্ষা করেন কর্মরতরা । একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও মাস শেষে তাদের মুনাফা সামলান। কিন্তু আজকের লাইফস্টাইল একজন ব্যক্তির সংসারের খরচকে নষ্ট করে দিয়েছে। বেতন আসার আগেই খরচের তালিকা তৈরি করা হয়। এটি আসার সাথে সাথে অর্থ ব্যয় বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন কিছু প্রতিকার বলা হয়েছে, যা মানুষের জীবনে অর্থ আনার নতুন পথ খুলে দেবে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মাস শেষে বেতন আসার আগে যদি কিছু ছোটখাটো ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে আপনি অবশ্যই উন্নতি পাবেন। সেই সাথে সম্পদের বৃদ্ধিও হবে। আসুন জেনে নিই বেতনের কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার সম্পর্কে।
বেতন আসার সাথে সাথে এই ব্যবস্থাগুলি করুন
জ্যোতিষশাস্ত্রে দান ও দানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কথিত আছে, একজন ব্যক্তি যত বেশি নিজ হাতে দান-খয়রাত করে, তার আমল তত বেশি উন্নত হয়। এমতাবস্থায় বেতন আসার সাথে সাথে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী বেতনের টাকা থেকে কিছু দান করুন। এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস যে দান করলে একজন ব্যক্তি পুণ্য লাভ করেন এবং অনেকে আশীর্বাদ পান। শাস্ত্রে দানকে সর্বশ্রেষ্ঠ পুণ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। এমতাবস্থায় বেতন পাওয়ার সময় যদি আপনি অন্ন, বস্ত্র ইত্যাদি অভাবগ্রস্তদের দান করেন, তাহলে আপনি এর সর্বোচ্চ ফল পাবেন।
পুরাণে দানের গুরুত্বকে বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়েছে। পুরাণে এমন অনেক উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে, যারা দান করে সর্বস্ব দান করেছিলেন।এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হরিশ্চন্দ্র, যিনি তাঁর সমগ্র রাজ্য দান করেছিলেন। শুধু তাই নয়, চন্ডালের জায়গায় চাকরিও পেয়েছিলেন দক্ষিণা দেওয়ার জন্য। তাই সময় সময় নিজের পকেট অনুযায়ী দান করেও একজন মানুষ দেব-দেবীর আশীর্বাদ পান।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment