গ্রুপ ডি মামলায় আবারও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বিস্ফোরক মন্তব্য। তিনি বলেন, "যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছে এবং যারা এর দ্বারা লাভবান তারা কি সমানভাবে দায়ী নয়? ওএমআর শীট বিকৃতির ফলে প্যানেল থাকা ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে কেন মামলা নথিভুক্ত করছেন না?" তদন্তে গতি বাড়াতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এসএসসি ১৬৯৮ জনকে সুপারিশপত্র দিয়েছে যাদের ওএমআর শীট ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এর মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছেন ১৬৯৪ জন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কৌঁসুলি আদালতকে জানিয়েছেন।
এই ১৬৯৮ জনের নামে নোটিশ জারি করা প্রয়োজন। বিচারপতি সিবিআই ও কমিশনকে বলেন, "তাদের কথা শোনা দরকার।" বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অসদুপায় অবলম্বন করে নিযুক্ত সবাইকে চাকরি ছেড়ে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। অনেকেই সহযোগিতা করছেন, আমরা নাম বলছি না। কিন্তু আমরা জানি যারা সহযোগিতা করছে না তাদের কী করতে হবে, জবাব দিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবীর।
এই ১৬৯৮ জন ফৌজদারি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন, এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ না করলে টাকাও যাবে, জেলেও যাবেন।"
স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাদের স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। এমন হয় না যে সিবিআই রসগোল্লা ভর্তি হাঁড়ি ধরিয়ে দেয়। আদালতে প্রশ্ন সিবিআইয়ের। সেই রসগোল্লার হাড়িতে আরশোলা ভর্তি, উত্তর স্কুল সার্ভিস কমিশনের।
আমাদের উদ্বেগ শুধুমাত্র তাদের জন্য এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন। ইতিমধ্যে ছয় বছর হয়ে গেছে, মন্তব্য করেন বিচারপতি। স্কুল সার্ভিস কমিশন কাজ শুরু করুক। অযোগ্য প্রার্থীদের অপসারণ করতে হবে, অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হবে। তালিকা তৈরি হলেই আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। একদিনের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
No comments:
Post a Comment