নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অযোগ্য প্রার্থীদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবারে স্কুলে বদলির নির্দেশ অমান্য করলে বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর কড়া বার্তা, বদলির পর স্কুলে না গেলে পরের মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেব। শুক্রবার শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
রাজনৈতিক চাপের কথা ভুলে, রাজ্যের যে স্কুলে পডুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম সেখানে বদলির অনুমোদন প্রত্যাহার করতে স্কুল শিক্ষা দফতরকে এদিন পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু। তাঁর কথায়, অচলায়তন ভাঙতে সময় লাগবে। কিন্তু শুরুটা তো হোক। জেলা স্তরে নতুন বদলি নীতির বাস্তবায়ন শুরু করুন।
উল্লেখ্য, শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত হাওড়ার একটি মামলার প্রেক্ষিতে দেখা যায় যে, একটি স্কুলে ১৩ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক, আবার আরেকটি স্কুলে প্রায় ৫৫০ প়ড়ুয়া থাকলেও শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ৮, নেই অঙ্ক ও বাংলার শিক্ষক। সেই সব স্কুলের বদলি অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দেন বিচারপতি।
শিক্ষা দফতরের আইনজীবী এই পরিপ্রেক্ষিতে জানান, এই নতুন নিয়মে স্থানীয় স্তরে বেশ সমস্যা হতে পারে, রাজনৈতিক চাপ আসতে পারে। তখনই বিচারপতি বলেন, 'রাজনৈতিক চাপের কথা ভুলে যান, রাজ্যের যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম তার অনুমোদন প্রত্যাহার করুন। আর বদলির পর স্কুলে না গেলে পরের মাস থেকে মাইনে বন্ধ করে দেব।'
প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
No comments:
Post a Comment