জ্যোতিষশাস্ত্রে রান্নার অনেক নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলো না মানলে জীবনে সমস্যা আসতে শুরু করে। একাদশীতে ভাত না বানানোর কথা আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, কিন্তু কিছু কিছু অনুষ্ঠানে রুটি বানানোও নিষিদ্ধ। এই উপলক্ষে, ভুল করেও বাড়িতে রুটি তৈরি করা উচিৎ নয়। এতে মা অন্নপূর্ণা রাগান্বিত হন এবং বরকতও ঘর ছেড়ে চলে যান।
দীপাবলি সহ মা লক্ষ্মীর কোনও উৎসবে বাড়িতে রুটি তৈরি করা উচিৎ নয়। এর বদলে খাবার তৈরি করা যেতে পারে, অর্থাৎ পুরি-হালুয়া, সবজি খাওয়া যেতে পারে।
যে বাড়িতে কেউ মারা যায়, সেই বাড়িতে রোটিসহ কোনো খাবার তৈরি হয় না। শাস্ত্র অনুসারে মৃত ব্যক্তির ১৩ দিন পরেই ঘরে রুটি তৈরি করা উচিৎ । তা করতে ব্যর্থ হলে অনেক অশুভ পরিণতি হতে পারে।
শারদ পূর্ণিমায় চাঁদ তার ১৬টি শিল্পে দক্ষ। এই দিন সন্ধ্যায় খির তৈরি করে চাঁদের আলোয় রেখে তারপর গ্রহণ করা হয়। এই দিনে আকাশ থেকে অমৃত বৃষ্টি হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই দিনে বাড়িতে রুটি তৈরি করা উচিৎ নয়।
নাগপঞ্চমীর দিন ঘরে চুলায় ভাজা রাখা নিষেধ। এমন অবস্থায় ভুল করেও রুটি বানাবেন না। শাস্ত্র অনুসারে, কড়াইকে সাপের ফণার প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে রুটির পরিবর্তে যে কোনো খাবার তৈরি করতে পারেন।
শীতলা অষ্টমীতে মা শীতলার পূজা করা হয়। এই দিনে মাকে বাসি খাবার দেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট বাসি খাবার প্রসাদ হিসাবে খাওয়া হয়। এই দিনে রুটি সহ কোনও তাজা খাবার ঘরে তৈরি করা উচিৎ নয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment