মহা শিবরাত্রির দিনটি সনাতন ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এটি ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর বিবাহ অনুষ্ঠানের দিন। এই বছর মহাশিবরাত্রি পালিত হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শনিবার। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি পালিত হয়। এই বছর মহাশিবরাত্রিতে, বছরের পর বছর, শনি গ্রহকে নিয়ে একটি বিরল যোগ তৈরি হচ্ছে, যেখানে শিব পূজা করে শিব ও শনি উভয়েই খুশি হবেন। ৩০ বছর পর, মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে, শনি তার মূল ত্রিকোণ রাশি কুম্ভ রাশিতে থাকবে।
মহাশিবরাত্রিতে শনি পূজার বিশেষ কাকতাল
ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ মহাশিবরাত্রির দিনে শনি তার রাশি কুম্ভ রাশিতে থাকবে। ৩০ বছর পর এমন কাকতালীয় ঘটনা ঘটবে। এছাড়াও এই দিনে প্রদোষ ব্রতের একটি যোগ রয়েছে। আসলে চতুর্দশী তিথিতে ত্রয়োদশী তিথিও পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে শনি প্রদোষ ও মহাশিবরাত্রির এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটছে। এই সংমিশ্রণে করা শনির প্রতিকার সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়। যারা শনির অর্ধ-সাড়ে ভুগছেন তাদের অবশ্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ । এতে করে সম্পদ-সমৃদ্ধি, সুখ, সুস্বাস্থ্য পাওয়া যায়।
মহাশিবরাত্রিতে শনি দোষ দূর করার উপায়
- মহাশিবরাত্রিতে শনি দোষ দূর করতে গঙ্গার জলে কালো তিল রেখে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। এছাড়াও অভিষেক করার সময় শিব সহস্রনাম জপ করুন। এতে করে শনি সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হবে। এর সাথে ভোলেনাথেরও খুব দয়া হবে।
- শনির প্রকোপ থেকে বাঁচতে মহাশিবরাত্রির দিন সকালে শিবলিঙ্গে বেলপত্র অর্পণ করুন। এছাড়াও শিব চালিসা পাঠ করুন।
- মহাশিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে বেলপত্র ও শমী ফুল অর্পণ করুন। শনিদেব হলেন শিবের ভক্ত। শিবলিঙ্গে শনির প্রিয় শমীকে ফুল অর্পণ করলে সাড়ে সাত বছরের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জীবনে সুখ আসে।
এছাড়াও মহাশিবরাত্রির দিন কালো উরদ ডাল, কালো তিল, সরিষার তেল দান করুন। পিপল গাছের নিচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে তেলে কিছু কালো তিল দিন। এর কারণে শনি রাশিতে শক্তিশালী হয় এবং শুভ ফল দেয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment