রাজ্যে চলছে বহু সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্প। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মী ভান্ডার, জয় জোহর, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, রূপশ্রী সহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক প্রকল্পে সাধারণ মানুষ কতটা পৌঁছচ্ছে? এখন এর উত্তর চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নবান্নের শীর্ষ মহল তাঁকে বিভিন্ন জেলায় জেলায় সরজমিনে পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলাকে রাজ্যের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পে জেলা পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের মঙ্গলবার মাঠ-ময়দান পরিদর্শনের জন্য তাদের অধীনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (বিডিও) এবং এসডিওদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত ক্ষেত্রের অধীনে এই ধরনের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি চলছে তার রিপোর্ট তৈরি করুন এবং অবিলম্বে সমন্বয় পোর্টালে আপলোড করুন।
মুখ্য সচিব নিজেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে-ময়দানে পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে, প্রতিটি ব্লক এবং পৌরসভা এলাকায় পরিদর্শন কাজ ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে। পরিদর্শনের পরে যে রিপোর্টগুলি এসেছে তাও বিভিন্ন জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয় পোর্টালে আপলোড করা উচিৎ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মুখ্যসচিব নিজেই এই নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। তিনি ১৫টি বিভাগের সচিবদের সাথে সাধারণ মানুষের অভিযোগের কতটা সমাধান হচ্ছে তা দেখতে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কড়া বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রের মতে, মুখ্যমন্ত্রী সচিবদের "ফরওয়ার্ড কালচার" এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন, বিশেষ করে সাধারণ মানুষের অভিযোগের জন্য এবং তারপরে সরজমিনের দিকনির্দেশনা বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
No comments:
Post a Comment