অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মুকুল রায়। বর্তমানে তিনি কলকাতার ইএম বাইপাসে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, রবিবার রাতে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে কেমন আছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়? ছেলে শুভ্রাংশু রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'বাবা দীর্ঘদিন ধরে স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছিলেন। মাঝে মাঝে মাথায় জল জমে যায়। এই কারণে শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য রক্ষা করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও বাবা পারকিনসন্স রোগে ভুগছেন। এর ফলে সার্বিক শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।'
শুভ্রাংশু জানান, রবিবার সকাল থেকেই মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি পরিবার, রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি একজন নিউরোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুভ্রাংশু রায় বলেন, “চিকিৎসকরা বর্তমানে বাবার চিকিৎসা করছেন। এটা নির্ভর করছে তারা আজকে কী রিপোর্ট দেবে এবং বাবা কবে ছুটি পাবে।" হয়তো আজ বা কাল ছুটি পাবেন বলেও জানান তিনি। শুভ্রাংশু বলল, “বাবা পুরোপুরি সচেতন। তিনি আমাদের সাথে কথাও বলেছেন।"
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন একসময়, অনেকেই আবার রাজনীতির চাণক্য বলতেন মুকুল রায়কে। ২০১৫ সালে জোড়াফুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন এবং ২০২১-এ বিজেপির টিকিটে জিতেই বিধায়ক হন মুকুল। তবে এর কিছুদিন পরেই ফের ঘরওয়াপাসি, পদ্ম মোহ কাটিয়ে ব্যাক টু প্যাভেলিয়ান, অর্থাৎ জোড়াফুল শিবিরে। শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবীতে সুর চড়ায় পদ্ম শিবির, শুরু হয় শিবির নিয়ে টানাপোড়েন। আচমকাই সক্রিয় রাজনীতি থেকে উধাও হয়ে যান মুকুল। মাঝে অবশ্য বেশ কয়েকবার তাঁর অসংলগ্ন মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতি। একবার বীরভূমে গিয়ে মন্তব্য করে বসেন, 'রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে', 'তৃণমূল মানেই বিজেপি', 'বিজেপি মানেই তৃণমূল'।সেইসময় মুকুল অসুস্থ বলে কোনও ক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেন অনুব্রত। তার আগেও কৃষ্ণনগরে নিজেকে একবার বিজেপি নেতা বলে দাবী করেন তিনি।
স্ত্রী বিয়োগের পর থেকেই ভেঙে পড়েন, তখন থেকেই তাঁর কথায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে, এমনই দাবী মুকুল ঘনিষ্ঠদের। স্নায়ু সমস্যার জন্য একুশের শেষ দিকে হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয় মুকুল রায়কে।
No comments:
Post a Comment