বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লীর মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে 'আদি মহোৎসব' উদ্বোধন করতে চলেছেন। ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি শিল্পী ও কলাকুশলী এই উৎসবে অংশ নেবেন। আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা জানিয়েছেন, উপজাতীয় পণ্যগুলিকে বাজারে সহজলভ্য করতে এবং তাদের শিল্প ও সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এমনকি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন এবং সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে, বিজেপি আদিবাসীদের প্ররোচিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। গুজরাটেও এবার আদিবাসী অধ্যুষিত আসনে ভালো সুবিধা পেয়েছে বিজেপি।
তথ্য অনুযায়ী, এই উৎসব চলবে ১৬ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এটি উপজাতীয় কারুশিল্প, সংস্কৃতি, রন্ধনপ্রণালী এবং বাণিজ্যের সাথে সরাসরি যুক্ত হবে। এতে অংশ নেবেন প্রায় ৫ শতাধিক আদিবাসী কারিগর। এছাড়া উপজাতীয় খাবারও উপভোগ করা যায়। 'অন্ন শ্রী' স্কিমও এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার করা হবে, যা এবারের বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে। উপজাতীয় সুস্বাদু খাবারের মধ্যে থাকবে বাজরা চুরমা, কোডো খির, রাগি হালুয়া, মান্দিয়া স্যুপ, কাশ্মীরি রায়তা, ভেল, কাবাব রোগান জোশ ইত্যাদি।
উপজাতীয় কারিগরদের দ্বারা তৈরি করা নকশাগুলি এই প্রোগ্রামে উপস্থাপন করা হবে। জাতিসংঘ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে। এই উৎসবে তামিলনাড়ু, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড। জম্মু-কাশ্মীর, ছত্তিশগড়ের বাজরা উপস্থাপন করা হবে এবং তাদের থেকে তৈরি সুস্বাদু খাবারও পাওয়া যাবে। এবারের উৎসবে দুই শতাধিক স্টল বসানো হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার অনেক বন্য পণ্যকে এমএসপির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮৭টি শস্য পণ্য রয়েছে যা MSP-এর আওতায় আসে। তবে এখন জঙ্গলে পাওয়া জিনিসগুলিকেও এমএসপির আওতায় আনা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য বনে পাওয়া শস্যকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া।
No comments:
Post a Comment