সিবিআই অফিসার সেজে ভবানীপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগে লালবাজার পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম দেবব্রত কর্মকার। তাঁর বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাসুদেবপুরে। ধৃত ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের স্পেশাল সিকিউরিটি গ্রুপে কর্মরত। এদিন তাঁকে আলিপুর আদালতে আনা হলে বিচারক তাঁকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে যে ১২ ডিসেম্বর সিবিআই অফিসার সেজে ভবানীপুরের রূপচাঁদ মুখার্জি লেনে বসবাসকারী ব্যবসায়ী সুরেশ ওয়াধাওয়ারের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা নগদ এবং লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না লুট করে।
পুলিশ জানায়, তিনটি গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। ভবানীপুর থানার পুলিশ প্রথমে তদন্ত শুরু করলেও পরে তা লালবাজার ডাকাত দমন শাখার হাতে তুলে দেওয়া হয়। মূল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তারা ৩০ লাখ টাকারও বেশি লুট করেছে। মূল ডাকাত অভিযুক্ত রাকেশের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেন যে এই ঘটনার অন্যতম প্রধান অপরাধী হলেন দেবব্রত, কারণ তিনি সিবিআই অফিসার হিসাবে কীভাবে পোশাক পরতে হবে তা অন্যদের শেখাতেন। দেবব্রত আরও অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে তালতলা থানা এলাকার মৌলালী থেকে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও কয়েক কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। একবালপুরে তোলাবাজির মামলায় চার পুলিশকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একের পর এক একাধিক ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততা পুলিশ সদর দফতর লালবাজারের শীর্ষ আধিকারিকদের ঘুম উড়িয়েছে। পুলিশ ও অপরাধীদের মধ্যে কতটুকু যোগসাজশ আছে তা খতিয়ে দেখছেন শীর্ষ আধিকারিকরা।
No comments:
Post a Comment