নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই স্ক্যানারে এজেন্টদের কীর্তি, প্রকাশ্যে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 19 February 2023

নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই স্ক্যানারে এজেন্টদের কীর্তি, প্রকাশ্যে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য



নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তদন্তে সিবিআই স্ক্যানারে এজেন্টদের কীর্তি। ধৃত এজেন্ট শেখ শাহিদ ইমামের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গেছে বলে সূত্রের খবর। শাহিদ দাবী, তিনি সাক্ষী দেবেন কারণ তিনি ফেঁসে গিয়েছেন। পাশাপাশি চন্দন মণ্ডলকে জেরা করেও নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট চক্র সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা গিয়েছে, বলেই সূত্রের খবর।



কেউ সিনেমায়, কেউ মিউজিক ভিডিওতে, কারও আবার বেসরকারি স্কুলও রয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে তিনজন এজেন্টকে সিবিআই শুক্রবার গ্রেফতার করেছে তাদের সম্পর্কে সামনে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। চাকরি বিক্রির চক্রে একটি বড় ভূমিকা ছিল এই এজেন্টদের, দাবী কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। 



সিবিআই সূত্রে দাবী, ধৃত রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে জেরা করে জানা গেছে, বাগদার সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় সাব এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন তিনি। এই সাব এজেন্টরা মুখে মুখে প্রচার চালাতেন যে, টাকা দিলেই সরকারি চাকরি পাওয়া যাবে। কোনও চাকরিপ্রার্থী চাকরির আশায় টাকা দিলেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হত। টাকা পাওয়ার পর সেইসব সাব এজেন্টরা সুপারিশ পাঠিয়ে দিতেন চন্দন মণ্ডলের কাছে। 


এই পটেই দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআইয়ের স্ক্যানারে চলে এসেছেন ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। সিবিআই সূত্রে দাবী, চন্দন মণ্ডল সহ ৬ এজেন্টই চাকরি বিক্রির টাকা প্রসন্ন রায়ের কাছে পৌঁছে দিতেন। এমনকি চন্দন মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকা যেত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের অ্যাকাউন্টে। প্রসন্নর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেও টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে চন্দন মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট থেকে। কোনও কোনও চাকরিপ্রার্থী সরাসরি প্রসন্নর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন বলেও দাবী সিবিআইয়ের। 



কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবী, নিয়োগ তদন্তে এখনও পর্যন্ত ২২টি অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেনের খবর পাওয়া গেছে। প্রসন্ন রায় ও তাঁর আত্মীয়দের সাড়ে ৩০০টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।  নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম ও শেখ শাহিদ ইমাম নামে তিনজন এজেন্টকে গ্রেফতার করে সিবিআই। 


ধৃতদের মধ্যে শাহিদ ইমামকে জেরা করে বিস্তারিত তথ্য ও নথি মিলেছে, দাবী সিবিআই সূত্রে। এইদিন আদালতে তোলার সময় শাহিদ অভিযোগ করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, তিনি সাক্ষী দিতে চান। শাহিদ ইমামকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad