বিধানসভায় নজিরবিহীন কাণ্ড! রাজ্যপালের ভাষণের মাঝেই বিজেপির ওয়াক আউট - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 8 February 2023

বিধানসভায় নজিরবিহীন কাণ্ড! রাজ্যপালের ভাষণের মাঝেই বিজেপির ওয়াক আউট

 


রাজ্য বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে বেনজির ঘটনার সাক্ষী।  রাজ্যপালের ভাষণের মাঝখানেই তোলপাড় শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।  তাঁর বক্তৃতার মাঝখানে বিজেপি জয় শ্রী রাম স্লোগান দেয়।  রাজ্যপালের ভাষণের মাঝখানে ওয়াকআউট।  গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল।



  আজ থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের বাজেট অধিবেশন।  অধিবেশনের শুরুতে গভর্নর হিসেবে প্রথম বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল সিভি আনন্দ বোসের।



  নির্ধারিত সময় অনুযায়ী তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ভাষণ শুরু করেন।  এদিন তার ভাষণও সংবাদমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।  যা প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ক্ষেত্রে হয় নি।  তবে অধিবেশন শুরুর আগেই কিছু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।



যদিও রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিধানসভায় তোলপাড় শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা।  যার কারণে এদিন রাজ্যপালের ভাষণের একটি শব্দও স্পষ্ট শোনা যায়নি।  শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের ভাষণের মাঝখানে বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ভবন থেকে ওয়াকআউট করেন।  এই সময় শুভেন্দু অধিকারীকেও রাজ্যপালের দিকে আঙুল তুলে 'শেম, শেম' বলতে শোনা যায় বলে অভিযোগ।



  বিজেপি অভিযোগ করেছে যে রাজ্যপালের পড়া বিবৃতির বেশ কয়েকটি অংশ অসত্য এবং তারা তা মেনে নিতে পারেনি।  এ কারণে তারা বিক্ষোভ করছে।  বিজেপি অসীম সরকার বলেন যে তারা চান বিধানসভা অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে শুরু হোক।  কিন্তু গভর্নর যে বক্তব্য দিতে শুরু করেন তা তারা মেনে নিতে পারেননি।  আরেক বিজেপি বিধায়ক বলেন, "শুধু মমতা সরকারের প্রশংসা করা হয়েছে। তিনি বর্তমান অস্থিরতা নিয়ে কথা বলেননি, কোনও চাকরির কথা বলেননি।"



অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী মন্তব্য করেছেন, "যা হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। কিন্তু, বুঝে নিন, তালি কখনওই একহাতে বাজে না। রাজ্যপালের বক্তব্যের বেশ কিছু অংশে বিজেপি বিধায়কদের আপত্তি।  আজ বিধানসভা হলে যা হল সরকার দায় এড়াতে পারে না।" 



  অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।  তিনি বলেন, "বাংলার ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তারা সংবিধান মানে না। তারা যখন সংবিধান মানে না, তখন আমাদের ভাবতে হবে তাদের এখানে থাকার অধিকার আছে কি না।" তিনি আরও বলেন, “জগদীপ ধনখড়ের প্রতিও আমাদের অনেক আপত্তি ছিল।  কিন্তু আমরা কখনওই গভর্নরকে হায় হায় করি নি।  কেন্দ্রীয় সরকার তাদের তা করতে পাঠিয়েছে।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad