বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের মধ্যে বৈবাহিক বিরোধ গত কয়েক বছর ধরেই সবার নজরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সুজাতা-সৌমিত্রের ডিভোর্স টেনে নিয়ে সৌমিত্রকে আক্রমণ করেন সৌগত রায়। সংসদে এমন হামলার পর তাঁকে সতর্কও করেছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। কিন্তু সৌমিত্র-সুজাতার অন্দরমহলের খবরে ব্যক্তিগত আক্রমণে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাননি সুজাতা মণ্ডল। তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্যে দোষের কিছু নেই।
সুজাতা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ' লোকসভায় আমাদের সাংসদ সৌগত রায় যা বলেছেন তা একেবারেই সত্য। আমি বিষ্ণুপুরের সাংসদকে খারাপ চরিত্রের সাংসদ মনে করি। সে আমাকে এত নির্যাতন করেছে, প্রাণ বাঁচাতে আমি সাড়ে তিনটায় বাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য হই। তার মহিলা সংসর্গ জানি। আমি থাকাকালীন যা তা করে বেড়িয়েছেন। এখনও করেন। সদ্য আমাদের ডিভোর্স পেপারে সই হয়েছে। তবে ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ডিভোর্স' লিখেছেন তিনি। এটা তাদের মানসিকতার পরিচয় দেয়।"
সৌগত রায় সংসদে বলেন, "সৌমিত্রের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে, তার স্ত্রী পালিয়ে গেছে বলেই তার মেজাজ খারাপ। আমি তার লাইন কেটে দিলাম।" কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সংসদে এ ধরনের মন্তব্য করা উচিৎ কি না? এ বিষয়ে সুজাতা খোলাখুলিভাবে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমরা লোকসভাকে গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ আসন বলে মনে করি। বৃহস্পতিবারের ঘটনা নজিরবিহীন হতে পারে। কিন্তু এমন কোনও সাংসদ নেই। লোকসভার সব সাংসদ, তারা যে দলেরই হোক না কেন, প্রবেশ করেছেন। ময়দানে জয়ী হন।সৌমিত্র খাঁ একমাত্র সাংসদ যিনি নিজে জেতেননি।এই জয়ে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। শুধু খণ্ডঘোষে বিষ্ণুপুর লোকসভার ৭টি আসনে প্রবেশ করতে পেরেছেন।কিন্তু সেখানে তিনি হেরেছেন ৩০ হাজার ৮৯০ ভোটে। বাকি ৬টি বিধানসভায় একদিনের জন্যও প্রবেশ করতে পারেননি। নির্বাসিত হন।"
No comments:
Post a Comment