'একজন ভদ্রমহিলা, স্বাভাবিক মানুষ কখনও গুরুচাঁদকে গরুচাঁদ বলতে পারে?' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়া আক্রমণ বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের। মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার গোলাপনগর থানার পাল্লা বাজারে, নহাটা গোপালনগর রোড অবরোধ করেন মতুয়া ভক্তরা ৷ তাদের এই অবরোধে শামিল হন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। এদিন মতুয়া ভক্তরা ডঙ্কা-কাশি-নিশান নিয়ে পাল্লা বাজার ঘোরেন। পরবর্তীতে পাল্লা বাজারে রাস্তা অবরোধ করেন। সেখানে তুমুল বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবী তোলেন।
স্বপন মজুমদার বলেন, মতুয়া সমাজের আরাধ্য হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাঁর যেভাবে নাম নিয়েছেন রঘুচাদ গরুচাদ বলে, একজন মানুষের নাম গরুচাঁদ হতে পারে? একজন ভদ্রমহিলা, স্বাভাবিক মানুষ কখনও গুরুচাঁদকে গরুচাঁদ বলতে পারে?'
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, এই মুখ্যমন্ত্রী আগে মতুয়া সমাজের মানুষকে বলেছে যে মতুয়া সমাজের মানুষ নাকি গরু খায়। আমরা সবাই কি সবাই গরু খাই? তিনি হিজাব পড়ে নামাজ পড়তে পারেন, অন্য ধর্মের ভোট বাক্সের জন্য যা কিছু করতে পারেন কিন্তু আমরা মতুয়া সমাজের মানুষ কখনও নিজেদের ধর্ম পরিবর্তন করি না। নিজের ধর্মের জন্য আমরা নিজেদের জীবন দিয়ে দিতে রাজি আছি।'
বিধায়ক বলেন, 'ওই মুখ্যমন্ত্রীর ভাওতাবাজিতে এর আগে আমরা অনেক অপমানিত হয়েছি। সে নাকি মতুয়া সমাজের জন্য অনেক কাজ করেছে! কি কাজ করেছে আমরা জানতে চাই। সে ইমাম ভাতা দিয়েছে, আমাদের দলপতি ভাতা কি দিয়েছে এখনও পর্যন্ত? শুধু ভাওতাবাজি ছাড়া ওই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কিছু দেয়নি। শুধু ভাওতাবাজি আর শিলান্যাসের সরকার। মতুয়া পর্ষদ গঠন করে কয়টা চোরের হাতে দিয়েছে। সেই চোরেরা ভাগ-বাটোয়ারা করে খেয়েছে। মতুয়াদের কোনও উন্নয়ন হয়নি।
স্বপন মজুমদার বলেন, 'ভগবানের কাছে, আমাদের আরাধ্য দেবতার কাছে ক্ষমা চাইতে হলে করজোড়ে প্রেস মিট করে ভালো করে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে পারতেন তিনি। আমরা ক্ষমা করে দিতাম। এর আগে ভোট ভিক্ষা করতে এসেছিলেন বড় মা'র কাছে। তার জন্য আজ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন, ওই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে আমরা মতুয়ারাই নামাব টেনে হিঁচড়ে।
তাঁর হুঁশিয়ারি, ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে, 'মুখ্যমন্ত্রী যদি ক্ষমা না চায়, তাহলে মতুয়া সমাজই তাকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি থেকে টেনে নামাবে।'
No comments:
Post a Comment