সিভি আনন্দ নতুন রাজ্যপাল হয়ে আসার পর নবান্ন ও রাজভবনের দূরত্ব অনেকটাই কমে এসেছিল। এমনকি ঘটা করে হাতে খড়ি অনুষ্ঠান, প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল রাজ্যপালের গলায়, তবে সম্প্রতি সেই চিত্র যেন কিছুটা বদলাতে শুরু করেছে। 'জগদীপ ধনখড়ের পথ অনুসরণ করছেন আনন্দ বোস। একতরফা বিজেপির কথা শুনে বিবৃতি দিচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, রাজ্যপাল একসময় বিজেপির ক্যাডার ছিলেন', রাজভবনের বিবৃতির পর জাগো বাংলায় এভাবেই রাজ্যপালকে আক্রমণ করা হল। পাশাপাশি তৃণমূল মুখপত্রে প্রশ্ন তোলা হয়, প্রশাসনের সঙ্গে কথা না বলে তদন্ত কীভাবে?
উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিষেধ প্রামাণিকের গাড়িবহরে হামলা অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ জানাতে শনিবার বিকেলেই রাজভবনের ছুটে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবীতেও সুর চরান বিজেপি নেতারা। এর পরে নিশীথ কাণ্ডে কড়া বিবৃতি জারি করে রাজভবন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি প্রশাসনের রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এর আগে রাজ্য-রাজ্যপাল সুসম্পর্ক নিয়ে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছিল পদ্ম শিবির। রাজ্যপালকে, রাজ্য সরকারের জেরক্স মেশিন বলেও আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করা নিয়ে রাজ্যপালকে এক হাত নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্যরা। এরপর থেকেই রাজ্যপালকে ট্র্যাকে ফেরাতে তৎপর হয়ে ওঠে পদ্ম শিবির, এমনই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। রাজ ভবনের এই কড়া বার্তা কি তারই ইঙ্গিত! জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে।
No comments:
Post a Comment