সময় যত গড়াচ্ছে, তুরস্ক-সিরিয়া থেকে এমন গল্প আসছে, যা শুনলে হৃদয় কেঁপে ওঠে। তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজারের কাছাকাছি। সোমবার সকালে তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী দল প্রত্যেকের জীবন রক্ষা করছে। এমন একটা সময় এসেছিল যখন উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য দূর থেকে একটি নিষ্পাপ শিশুর কান্না শুনতে পান। সেই আওয়াজ ভেসে আসছিল ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে। সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের একটি নিষ্পাপ শিশুকে বাঁচানোর মিশন এখান থেকেই শুরু হয়।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের দুদিন পর শিশুর কান্নার শব্দ হৃদয় বিদারক। উদ্ধারকারী দলও অনেক সময় আবেগাপ্লুত হচ্ছে। অনেক শিশু আছে যারা তাদের বাবা-মাকে খুঁজছে কিন্তু তারা মারা গেছে। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের খোঁজ করছেন, মনে হচ্ছে তারা মারা গেছে। একটি ফুটেজে ধরা পড়েছে হৃদয় বিদারক কাহিনী। বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি কান্নারত শিশুকে টেনে আনা হচ্ছে।আরেকজন ক্রু ভিডিও করেছেন। এতে আপনি স্পষ্ট দেখতে পাবেন কিভাবে একজন উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে শিশুটিকে নিরাপদে বের করার চেষ্টা করছেন।
উদ্ধার কর্মীদের লোকেরা বলেছিল যে শিশুটি আলেপ্পোর জিন্দেইরে তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছিল। সিরিয়ার এই জায়গাটি ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্স ফোর্স ভিজে এবং অন্ধকারে একটি শিশুর উপস্থিতি টের পায়। এর পরে, কিছু লোক খুব সাবধানে এটি সরানোর জন্য আশপাশ থেকে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেয়। ভারী পাথর পিছলে শিশুটির প্রানের ঝুঁকি থাকায় কাজটি খুব দ্রুত করা যায়নি। বেসামরিক বাহিনীর একজন সদস্য শিশুটিকে খুঁজে পান যার নীচের অর্ধেক ইট এবং ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। তার মাথা রক্তে ভিজে গেছে।
তাকে বাঁচাতে এখন অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। একজন সদস্য ধ্বংসস্তূপের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে শিশুটির নাড়ি পরীক্ষা করছেন। সে জীবিত। ধ্বংসস্তূপের স্তূপ থেকে দেহের একমাত্র অংশ দেখা যাচ্ছে। শিশুটি একটি বড় পাথরের নিচে আটকে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের হাত থেকে গ্লাভস খুলে ফেলে এবং ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে থাকে। প্রতিটি পাথর যতই সরানো হচ্ছে, ততই কান্নার শব্দ জোরে হচ্ছে। তার কান্নার আওয়াজ আরও জোরে হতে লাগল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
No comments:
Post a Comment