ঘরে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা খুবই জরুরি, তবেই সেখানকার পরিবেশ ইতিবাচক থাকে। তাই প্রতিদিন বাড়িতে ঝাড়ু দেওয়া হয়। ধর্মীয় শাস্ত্রে, ঝাড়ু সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর সাথে সম্পর্কিত। ঝাড়ু দিয়ে কোনো ভুল হলে মা লক্ষ্মী রেগে যান এবং ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর ছেড়ে চলে যান। এর কারণে জীবনে আর্থিক সমস্যা, দুঃখ-কষ্ট ইত্যাদির সম্মুখীন হতে হয়। এই পরিস্থিতিগুলি এড়াতে, বাস্তুশাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে কিছু নিয়ম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সঠিক সময়, ঝাড়ু কেনার দিন, ঘরে ঝাড়ু রাখার সঠিক জায়গা ইত্যাদি।
এ সময় ঝাড়ু দিলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে দিনের প্রথম চার ঘণ্টা ঘর ঝাড়ু দেওয়ার উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, ঝাড়ু দেওয়ার সবচেয়ে শুভ সময় হল সূর্যোদয়ের পরপরই। এতে করে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। বাড়ির পরিবেশ ইতিবাচক থাকে। বাড়ির সদস্যদের জীবনে উন্নতি হয়, তাদের মধ্যে ভালোবাসা থাকে। একই সময়ে, রাতে বা সূর্যাস্তের পরে ঝাড়ু দেওয়া সবচেয়ে অশুভ। এতে করে ধনের দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন এবং ঘরে দারিদ্র্য ও কলহ বাড়ে। গৃহে অর্থের আগমন কম হয় বা বাধা থাকে।
ঝাড়ু সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বাস্তু নিয়ম
- ঘরের কোনো খোলা জায়গায় ঝাড়ু রাখবেন না। এটা করা অশুভ। ঝাড়ু সবসময় লুকিয়ে রাখতে হবে বা এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে বাইরের কেউ দেখতে না পারে।
- মন্দির বা লকারের কাছে কখনই ঝাড়ু রাখা উচিৎ নয়। এ ছাড়া রান্নাঘর, ডাইনিং বা বেডরুমে ঝাড়ু রাখা উচিৎ নয়। অন্যথায় অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
- গরু বা কুকুরের মতো কোনো প্রাণীকে কখনই ঝাড়ু দিয়ে আঘাত করবেন না। এটি করা দুর্ভাগ্য বলে মনে করা হয়।
- বাড়ির কোনো সদস্য যদি কোনো কাজে বাইরে যান, তবে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়ু দেওয়া উচিৎ নয়। এতে করে ব্যক্তিকে কাজে ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment