হিন্দু ধর্মে কিছু জিনিস খুব শুভ বলে মনে করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এগুলিকে ঘরে রাখাও খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এই জিনিসগুলো অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
অনেক সময় পরিশ্রমের পরেও ঘরে টাকা থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে, বাস্তু ত্রুটির কারণে এই সব ঘটতে পারে। সময়মতো এই ত্রুটি দূর করা প্রয়োজন। এর জন্য বাস্তুশাস্ত্রে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এই জিনিসগুলি কিনে ঘরে রাখলে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চালন শুরু হয় এবং অর্থলাভ হতে শুরু করে।
হাতির মূর্তি
ঘরে শান্তি ও সুখ না থাকলে হাতির রূপোর বা পিতলের মূর্তি আনুন। এতে ঘরের রাহু দোষ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে। বাস্তুশাস্ত্রে হাতিকে সম্পদের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ঘরে আনলে দেবী লক্ষ্মী ঘরে থাকেন। বাড়ির উত্তর দিকে জল ভর্তি একটি জগ রাখতে হবে। তবে কলস না পাওয়া গেলে ছোট কলসও রাখা যেতে পারে তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন তা পরিপূর্ণ হয়। এটি করলে ভাগ্য আসে।
পিরামিড
বাস্তুশাস্ত্রে পিরামিডের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকলে রূপা, পিতল বা তামার পিরামিড রাখলে এই দোষ দূর হয়। ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয় এবং আর্থিক অসুবিধা দূর হয়। পিরামিডটি বাড়ির সেই অংশে রাখতে হবে যেখানে সকল সদস্য একত্রে মিলিত হন বা বসেন। এই জায়গাটি হতে পারে বাড়ির মিলনস্থল বা খাবার খাওয়ার জায়গা।
মাছ
বাস্তু মতে ঘরে রুপা বা পিতলের মাছ রাখতে হবে। তবে বাড়িতে আনার পর এটা রাখার জায়গাটাও খেয়াল রাখতে হবে। বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে মাছ রাখতে হবে। এতে আয়ের নতুন উৎস খুলে যায়। আয় বৃদ্ধি এবং সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
পঞ্চমুখী হনুমান
যাইহোক, হনুমানজিকে স্মরণ করলেই দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়, কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে হনুমানজির পাঁচমুখী ছবি বা মূর্তি স্থাপন করলে আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত হয়। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হনুমানজির পঞ্চমুখী মূর্তি বা ছবি রাখুন এবং প্রতিদিন পুজো করুন। মা লক্ষ্মী ও কুবেরকে সম্পদ ও অর্থের দেবতা মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাস্তু অনুসারে বাড়ির প্রবেশদ্বারে লক্ষ্মী ও কুবেরের ছবি থাকা উচিৎ । সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঘরে উভয় দেবতার ছবি রাখুন। তার বাড়িতে অর্থের কোনো অভাব হবে না।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment