রাতের অন্ধকারে জোনাকি দেখতে বেশ ভাল লাগে। কিন্তু বর্তমানে এই জোনাকি দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। শহর তো ছেড়েই দিন, এখন গ্রাম থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে এগুলো।
কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে আমাদের জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং তা জোনাকির অস্তিত্বের জন্য ভাল নয়। বিশ্বের সমস্ত পোকামাকড় এবং পতঙ্গের মধ্যে জোনাকির অংশ প্রায় ৪০%। সবচেয়ে বড় কথা হল ডাইনোসরের সময় থেকেই এরা পৃথিবীতে বিদ্যমান।তাহলে চলুন জেনে নেই জোনাকি সম্পর্কে-
জোনাকি রাতে জ্বলজ্বল করে কারণ তাদের পেটে একটি আলো উৎপাদনকারী অঙ্গ থাকে। আসলে, জোনাকি বিশেষ কোষ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং তার শরীরে লুসিফেরিন নামক উপাদানের সঙ্গে একত্রিত করে। অক্সিজেন এবং লুসিফেরিন মিলিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই আলো তৈরি হয়। এই আলোকে বলা হয় বায়োলুমিনেসেন্স। তবে এই আলোতে তাপ নগণ্য।
সারা বিশ্বে প্রায় ২০০০ প্রজাতির জোনাকি রয়েছে। যদি অ্যান্টার্কটিকা ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে সারা পৃথিবীতে তাদের উপস্থিতির চিহ্ন পাওয়া যায়।
যদি এই প্রাণীগুলো আশেপাশে থাকে তাহলে বুঝতে হবে, যে পরিবেশে আপনি বসবাস করছেন সেটি বাসযোগ্য। আসলে, এরা পরিবর্তিত পরিবেশের জন্য খুব সংবেদনশীল। বিশুদ্ধ পরিবেশ ও জলে বিষাক্ত রাসায়নিকের মিশ্রণ না থাকলেই এই জীবগুলো বেঁচে থাকতে পারে।
নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে উপস্থিত সকল পোকামাকড়ের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এই গবেষণায় এমনও বলা হয়েছে যে আগামী কয়েক বছরে জলবায়ু পরিবর্তন এভাবে চলতে থাকলে তাদের বিলুপ্তি আরও বাড়বে।
No comments:
Post a Comment