ঘুম থেকে উঠেই অনেকেরই অভ্যাস এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি পান করে দিন শুরু করা। কেউ কেউ স্ট্রং কফি পছন্দ করেন, কেউ আবার ব্ল্যাক কফি,তবে কফি চাই-ই চাই। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে এমন খাবার বা পানীয় গ্ৰহণে সংযমী হওয়া প্রয়োজন। এমতাবস্থায় মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, গর্ভবতী মায়েদের জন্য কি কফি পান আদৌ নিরাপদ ? বা এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি না? আসুন জেনে নেওয়া যাক তা-
গর্ভবতী মহিলাদের শিশুর বৃদ্ধি সঠিক উপায়ে হতে এবং নিজেদের সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সময় অ্যালকোহল পান বা ধূমপানের মতো অভ্যাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পাশাপাশি কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন নিরাপদ কি না, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত।
গবেষণা পরামর্শ দেয় যে গর্ভাবস্থায় কফি পান, বিশেষ করে প্রস্তাবিত ডোজ- ≤ ২০০ mg- এর বেশি পান করলে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ‘গর্ভাবস্থায় কফি পান - গাইনোকোলজিস্টের কী জানা উচিৎ?’ শিরোনামের একটি গবেষণায় জানা গেছে যে, গর্ভাবস্থায় সুপারিশকৃত মাত্রার বেশি ক্যাফেইন খেলে বিপাক প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
এর ফলে এটি তার ক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করে এবং 'ভ্রূণের শরীরে প্রবেশ করে' যা মা এবং শিশু উভয়ের জন্য স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
কিন্তু, অনন্য মানুষদের জন্য কফির উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। একই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে যে, পেপার ফিল্টার এবং চিনি বা দুধ ছাড়াই যে কফি তৈরি করা হয় তা 'মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর উপকারী প্রভাব' ফেলে।
দিনে মোট ২-৩ কাপে অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ বৈশিষ্ট্য এবং স্নায়বিক, পাচক, কার্ডিওভাসকুলার এবং কিডনি সিস্টেমের কার্যকলাপে ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়।
এই গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে সর্বাধিক পরিমাণে ক্যাফেইন গ্ৰহণ করেছিলেন বয়স্ক, মাল্টিপারপাস, অতিরিক্ত বা স্থূল মহিলা এবং ধূমপায়ীরা। এটি স্পষ্টভাবে বলেছে যে, মা যে পরিমাণ ক্যাফেইন গ্রহণ করেন, তা নবজাতকের চুলের পরিমাণের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে যে গর্ভাবস্থায় ক্যাফেইন গ্রহণ গর্ভপাত, মৃতপ্রসব, জন্মের সময় কম ওজন, গর্ভাবস্থার সময় কম ওজন, সময়ের আগেই জন্ম ইত্যাদির ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত।
No comments:
Post a Comment