অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা হতে পারে কোনো বড় রোগের কারণ! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 17 March 2023

অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা হতে পারে কোনো বড় রোগের কারণ!

 





ঘুম স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তবে আমাদের বেশিরভাগরেই জীবনে ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু সমস্যা আছে। যেমন কিছু লোক প্রচুর ঘুমায় এবং কাউকে ঘুমের জন্য লড়াই করতে হয়।  নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম ঘুম হলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর যেমন খারাপ প্রভাব পড়ে, তেমনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি ঘুম হলেও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর খুবই খারাপ প্রভাব পড়ে।



এরকম একটি ব্যাধি হল হাইপারসোমনিয়া। এতে, ব্যক্তির সারাক্ষণ ঘুম আসে, বিশেষ করে দিনের বেলা।  সারা রাত ঘুমানোর পরেও, দিনের বেলা ঘুমের চাপ এতটাই প্রবল যে, না ঘুমিয়ে ব্যক্তি থাকতে পারেন না এবং দিনের বেলা কয়েক মিনিটের ঘুম থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমের প্রয়োজন হয়। এই সময় বিভিন্ন মানুষ ভেদে ভিন্ন হতে পারে।



কিন্তু কেন হয় এমনটা? জেনে নেওয়া যাক -

হাইপারসোমনিয়ার কারণগুলি এখনও অজানা। তবে গবেষকরা কিছু জিনের ভূমিকা তদন্ত করছেন যা, অন্যদের থেকে এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা করতে পারে।

কিছু ঝুঁকির কারণ আছে যা হাইপারসোমনিয়ার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, খুব বেশি অ্যালকোহল পান।

শৈশবের যে কোনও মানসিক আঘাত, যার সঠিকভাবে সাইকোথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়নি।

যে কোনও ভাইরাল সংক্রমণ, যা তার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয় তা হাইপারসোমনিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

এই সমস্যাটি জিনগত কারণেও হতে পারে।

যাদের মানসিক ব্যাধি বা বিষণ্নতা, উদ্বেগ, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, আলঝেইমার ইত্যাদি রোগ আছে তাদের হাইপারসোমনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।



 লক্ষণ:

হাইপারসোমনিয়ায়, একজন ব্যক্তি মনে করেন যেন তিনি সারাদিন ঘুমাচ্ছেন।

শরীরে ভারী ভারী ভাব দেখা দেয় এবং এর ফলে কার্যক্ষমতা কমে যায়, যা পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে।

ঘুমানোর পরেও আপনি তরতাজা অনুভব করেন না, শরীরে শক্তির ঘাটতি হয় এবং মাথায় ভারী ভাব অনুভূত হয়।

 

রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেও সকালে ঘুম থেকে উঠতে সমস্যা হয় এবং শরীর বিছানায় শুতে বাধ্য করে।


 ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্কে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এবং কোনও স্বচ্ছতা ও শক্তি অনুভূত হয় না।


সাধারণত কিশোরাবস্থা এবং যুবাবস্থায় এই সমস্যা বেশি হয়, যার কারণে এই বয়সেই বেশির ভাগ লোকের রোগ ধরা পড়ে।



 চিকিৎসা:

আপনি একজন ভালো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এই ব্যাধির সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেন।  আপনার খাদ্যের প্রতি যত্নবান হওয়া এবং ধ্যান করা উচিৎ। কারণ এ ধরনের সমস্যায় প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকা খুবই জরুরি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad