পুরুষদের ন্যায় মহিলাদেরও তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ। বিশেষ করে নারীদের শরীরে যে পরিবর্তন হয়, তারা পুরুষের তুলনায় নানা ধরনের রোগে বেশি আক্রান্ত হয়, যা তাদের জন্য গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যেমন হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা। তাই মহিলাদেরও তাদের হৃদয়ের খুব যত্ন নেওয়া দরকার।
আগে বলা হত যে, নারীদের হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম, কিন্তু চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে, নারীদেরও তাদের হার্টের যত্ন নেওয়া উচিৎ। বিশেষ করে শহরের মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে, মহিলারা যদি হার্ট অ্যাটাক এড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিন।
১.হৃদরোগ এখন মহিলাদেরও গ্রাস করছে। হার্ট অ্যাটাক ১৬.৯% মৃত্যুর জন্য দায়ী, বিশেষ করে শহরগুলিতে।
২.মেনোপজের আগে নারীর শরীর থেকে নিঃসৃত হরমোন ইস্ট্রোজেন HDL অর্থাৎ ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ LDL নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু মেনোপজের পর এই হরমোন বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে মহিলাদের কোলেস্টেরল বেড়ে যায়।
৩.আপনার যদি ডায়াবেটিস, PCOS থাকে এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যায়, তাহলে তাও খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা দরকার, কারণ সেটাও হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী। বিশেষ করে ৬৫ বছর বয়সের পর নারীদের HDL অর্থাৎ ভালো কোলেস্টেরল কমে যায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
এগুলি ছাড়াও গত কয়েক বছরে মহিলাদের মধ্যে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপের ঘটনাও বেড়েছে, যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনাও বেড়েছে।
প্রতিরোধের উপায়:
১) প্রতিরোধমূলক যত্নে আপনার জীবন চাপ মুক্ত রাখুন এবং ৪০-এর পরে নিয়মিত হার্ট স্ক্রিনিং করুন। প্রেসার-সুগার পরীক্ষা করুন, লিপিড প্রোফাইল, HBA1C এবং ECG সম্পন্ন করান।
২) ঘন্টাখানেক যে কোনও ব্যায়াম করুন। আপনার পছন্দ মতো ওয়ার্কআউট করুন এবং ফিটনেসের সম্পূর্ণ যত্ন নিন।
৩)মানসিক চাপ, ওজন এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এই তিনটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে অন্য অনেক রোগ থেকেও রক্ষা পাবেন।
৪)জাঙ্ক ফুড, কোলেস্টেরল বাড়ানো, ডায়াবেটিক খাবার সম্পূর্ণরূপে বাদ দিন।
৫) সুগার বা বিপি বা অন্য কোনও রোগ থাকলে তার ওষুধ সময়মতো খান।
No comments:
Post a Comment