দক্ষিণ ভারতের মন্দির পরিদর্শন অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয় মীনাক্ষী মন্দিরের পরিদর্শন ছাড়া। এই মন্দিরটি শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতেই নয়, দেশের বিখ্যাত মন্দিরগুলির মধ্যেও একটি। এর স্থাপত্য হল দারুন ।
তামিলনাড়ু রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে ভাইগাই নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দিরটি দেবী পার্বতীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই মন্দিরটি, ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি, এখানে মাকে মীনাক্ষী রূপে পূজো করা হয় এবং মহাদেব ভগবান সুন্দরেশ্বর রূপে পূজো করা হয়। চলুন মীনাক্ষী মন্দিরের চমৎকার স্থাপত্যের পাশাপাশি এর ধর্মীয় ইতিহাস সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নেই-
মীনাক্ষী যার অর্থ মাছের আকৃতির। এর বিশাল এবং প্রাচীন মন্দিরটি দ্রাবিড় শৈলীতে নির্মিত। ১৬২৩ থেকে ১৬৫৫ সালের মধ্যে মার এই বিশাল মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
এই মন্দিরের অভ্যন্তরে যাওয়ার জন্য চার দিকে চারটি বিশাল প্রবেশপথ রয়েছে। ৯ তলা বিশিষ্ট সমস্ত প্রবেশদ্বার প্রায় ১৭০ ফুট উঁচু। মীনাক্ষী মন্দিরের প্রবেশদ্বারে, একটি পাথরে খোদাই করা ভগবান শ্রী গণেশের একটি বড় মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি দরজায় পাথর কেটে অন্যান্য মূর্তির সৌন্দর্যও চোখে পড়ে। ৪৫ একর জায়গায় নির্মিত এই মন্দিরটি ১২টি গোপুরম বা ১২টি প্রবেশদ্বার দ্বারা বেষ্টিত।
মীনাক্ষী মন্দিরে মা পার্বতী ছাড়াও নটরাজ রূপে মহাদেবকে দেখা যায়। মন্দিরের অভ্যন্তরে, একটি রৌপ্য চত্বরে ভগবান নটরাজের একটি বড় মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ভগবান শিবের নাচের ভঙ্গি বাম পায়ে নয়, ডান পায়ে রয়েছে। এগুলি ছাড়াও মন্দিরে অন্যান্য দেব-দেবীসহ প্রায় ৩৩ হাজার মূর্তি রয়েছে।
মীনাক্ষী মন্দিরে একটি ১৬৫ ফুট লম্বা এবং ১২০ ফুট চওড়া পুকুর রয়েছে। যার ভিতরে একটি বড় সোনার পদ্ম ফুল ফুটে আছে। এর বিশেষত্ব হল এটি সারাদিন সূর্যের আলোতে ঝলমল করে। মীনাক্ষী মন্দিরের ভেতরে ৯৮৫টি স্তম্ভ সহ একটি হল রয়েছে। এই প্রতিটি স্তম্ভে কান পাতলে বিভিন্ন সুর শুনতে পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment