বাংলায় অ্যাডিনোভাইরাসের দাপট অব্যাহত! ১০ দিনে মৃত্যু ৪৩ শিশুর - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 6 March 2023

বাংলায় অ্যাডিনোভাইরাসের দাপট অব্যাহত! ১০ দিনে মৃত্যু ৪৩ শিশুর



বাংলায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। সোমবার সকালে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এক শিশুর মৃত্যু হয়।  নিহত শিশুর নাম আরিয়ান খান।  তার বয়স ৮ মাস।  কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল সে। সর্দির পর জ্বর আসে।  ঠাণ্ডা, জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টেও ছিল ৮ মাস বয়সী আরিয়ান।  তার পরিবার আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা।  গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে।  গত ১০ দিনে ৪৩ শিশু মারা গেছে।



 রাজ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।  রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ শিশুমৃত্যুর হার নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়ে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করেছে।



 সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  পিয়ালী মালাকার (৮ মাস ১৫ দিন) হরিপালের বাসিন্দা।  জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।  হুগলি ইমামবাড়া হাসপাতালকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।  গত এক সপ্তাহ ধরে শিশু মৃত্যুর খবর শিরোনামে।  এর মধ্যে বেশিরভাগই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে।  কারও কারও প্রচণ্ড সর্দি-কাশি ছিল।  সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যাও ছিল।  তবে সব শিশুই অ্যাডিনোভাইরাসে মারা যাচ্ছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।  তবে মৃত্যুর আশঙ্কা যে বাড়ছে তা অস্বীকার করা যাবে না।শনিবার রাতে বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর।  ৬ মাস বয়সী ওই শিশু গাইঘাটার বাসিন্দা।  শনিবার সকালে বি সি রায়তে ৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।



শনিবার সকাল ৬টার দিকে মেটিয়াবুর্জ সংলগ্ন নাদিয়াল থানা এলাকার বাসিন্দা আতিফা খাতুন মারা যান।  গত রবিবার জ্বর ও সর্দিজনিত কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার।  শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মিনখা থানার চৈতাল এলাকায় চার মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাসিন্দা এক শিশুর মৃত্যু হয়।  রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি শিশু মারা যায়।  আর শনিবার মারা গেছেন দুজন।  যদিও তাদের নাম জানা যায়নি।  রাজ্য সরকার শিশুদের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে পরামর্শ জারি করেছে এবং হাসপাতালগুলিতে বেড সংখ্যা বাড়িয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad