দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে এখন মানুষের প্রবণতা চাকরির পরিবর্তে ব্যবসা করার দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু কোন ব্যবসা করা উচিৎ যাতে কম খরচে বেশি লাভ পাওয়া যায়, এই প্রশ্ন প্রায়ই মানুষের মনে আসে। এমতাবস্থায় আপনি যদি হাঁস-মুরগি পালনে আগ্রহী হন, তাহলে মুরগি পালন করলে ভালো লাভ হয়। নাম থেকেই বোঝা যায় যে পোল্ট্রি ফার্মিংয়ে শুধু মুরগি পালন করেই আয় হয়, তাই বেশি যত্ন নিতে হবে। মুরগির রোগবালাই পোল্ট্রি ফার্মিং ব্যবসার অন্যতম প্রধান সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে চলুন জেনে নিন রোগ ও এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে।
রানীক্ষেত- এটি সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং সংক্রামক রোগ।
উপসর্গ- মুরগির উচ্চ জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডিম উৎপাদন কমে যাওয়া, মুরগির বীট সবুজ, অনেক সময় ডানা ও পা অবশ হয়ে যায়, একদিনেই অনেক মুরগি মারা যায়।
প্রতিরোধ- এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। R2B এবং N.D.Killed এর মত ভ্যাকসিনগুলি এতে গুরুত্বপূর্ণ। টিকা ৭ দিন, ২৮ দিন এবং ১০ সপ্তাহে সঠিক।
বার্ড ফ্লু- এটি মুরগি এবং অন্যান্য পাখির মধ্যে একটি মারাত্মক রোগ। আক্রান্ত মুরগির নাক ও চোখ থেকে নিঃসৃত ক্ষরণ, লালা এবং বিট ভাইরাস ধারণ করে। ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করে।
লক্ষণ- মুরগির মাথা ও ঘাড়ে ফুলে যাওয়া, ডিম পাড়ার ক্ষমতা হঠাৎ কমে যাওয়া, মুরগি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে এবং দ্রুত মারা যেতে শুরু করে।
প্রতিরোধ - বার্ড ফ্লু এর কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। প্রতিরোধই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায়।
ফাউল পক্স- এই রোগে মুরগির ছোট ছোট পিম্পল হয়। এটিও একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উপসর্গ- চোখে জল , শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, খাবার ও পানীয় কম, ডিম পাড়ার ক্ষমতা কম, মুখে ফোসকা পড়া, সংক্রমণ বেড়ে গেলে মুরগিও মারা যায়।
No comments:
Post a Comment