অবৈধ সম্পর্কের কাঁটা হয়ে ওঠা বিবাহিত প্রেমিকার স্বামীকে সরিয়ে দিলেন কনস্টেবল। ষড়যন্ত্রে কনস্টেবল তার প্রেমিকাকে সঙ্গে তার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর দুজনেই পলাতক। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের রাঁচির। এ ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকাবাসী তোলপাড় সৃষ্টি করে। থানা ঘেরাও করে। এমনকি নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠানো হয়নি। পুলিশ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বোঝাতে থাকে। বিষয়টির গাম্ভীর্য দেখে স্থানীয় লোকজনের হট্টগোলের পর পুলিশ তড়িঘড়ি করে দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
গ্রামবাসী জানান, মৃত লেন্ডা মুন্ডার স্ত্রী কাঞ্চন মুন্ডা সার্কেল অফিসে সহকারী হিসেবে কর্মরত। একই সময়ে কাঞ্চন লাপুং পুলিশ সদস্য এলিয়াজার কুজুরের সাথে দেখা করেন। দুজনের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। কাঞ্চনের স্বামী লেন্ডা মুন্ডা দুজনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পেরেছিলেন, যা তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। প্রতিনিয়ত বিরোধিতা ও বিতর্কে বিরক্ত কাঞ্চন তার প্রেমিক পুলিশ ইলিয়াজারকে পুরো বিষয়টি খুলে বলেন। এরপরই প্রেমিকার স্বামীকে খুনের ষড়যন্ত্র করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রেমিক তার বাড়িতে বিবাহিত প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এসময় তার স্বামী লেন্ডা মুন্ডা বাড়িতে পৌঁছে দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ধরা পড়ায় ক্ষেপে গিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকা মিলে নৃশংসভাবে লেন্ডা মুন্ডাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। অপরাধ করার পর প্রেমিক যুগল দুজনই পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় লাপুং থানার প্রতি সাপুকেরা গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সুপার নওশাদ আলম জানান, বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল ও তার প্রেমিকাকে আটক করা হয়েছে, দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ স্বজন ও গ্রামবাসী।
No comments:
Post a Comment