শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আকাশ ঘোষকে ইডি আধিকারিকরা হেফাজতে নিয়েছেন। গ্রেপ্তার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলাগড় রিসর্টে ঢোকার পরে, ইডি আধিকারিকরা চন্দ্র কলোনিতে গিয়ে শান্তনুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ ঘোষের বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়িতে বেল বাজিয়েছিলেন ইডি-র দুই অফিসার। আকাশের বাবা বেরিয়ে আসতেই ছেলের খোঁজ করেন তদন্তকারীরা। আকাশের বাবা উত্তরে বলেন, ছেলে এখন বাড়িতে নেই, কাজে গেছে। তাকে বাড়িতে ডাকা হয়।
আকাশ বাড়িতে এলে ইডির দুই আধিকারিকই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিসোর্টে চলে যান। ইডি সূত্রে খবর, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে রিসোর্টে নিয়ে এসে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ইডি ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব ঘনিষ্ঠ আকাশ ঘোষ। তিনি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী হতেন। ইডি সূত্রে খবর, সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ জিরাত কলেজে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনু কখন কোথায় যেতেন, কার সঙ্গে দেখা করতেন এবং কখন আকাশের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন তা জানার চেষ্টা করা যেতে পারে।
আকাশের বাবা দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, আকাশের কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। আমি জানি না ইডি আধিকারিকরা কেন আমার বাড়িতে এসেছেন? তিনি এসে ছেলের নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলেন। শান্তনু আকাশের দাদা ও ভাইয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত। পাড়ায় থাকতেন। আমার ছেলে স্নাতক। তিনি জিরাত কলেজে কেরানির কাজ করেন। আমি বলতে পারব না সে কীভাবে চাকরি পেয়েছে, তবে শান্তনু চাকরি পেতে সাহায্য করেনি। সুপ্রতিম বলেন, “আমি শান্তনুকে অনেকদিন ধরে চিনি। আমি আমার যোগ্যতার ভিত্তিতে কলেজে চাকরি পেয়েছি, শান্তনু আমাকে চাকরি দেয়নি। সুপ্রতিম ওরফে আকাশ জানান, তিনি এক সময় জিরাত কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ দিন হুগলির বলাগড়ে শান্তনু সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি সম্পত্তিতে ইডি অভিযান চালায়। চন্দ্রর রিসর্ট ছাড়াও আধিকারিকরা চুঁচুড়ায় শান্তনুর ফ্ল্যাট এবং স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার নামে ব্যান্ডেলে একটি দোতলা বাড়িতেও হানা করেছেন। দোতলা বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। পরে ইডি আধিকারিকদের ফেরার সময় বাড়ি তালা দিতে দেখা যায়।
No comments:
Post a Comment