এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের হিরাপুর থানার অন্তর্গত নিউটাউন এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত আদিবাসী ছাত্রীর নাম কোয়েল হাসদাঁ, বয়স ২২ বছর। মঙ্গলবার রাতে এই মৃতদেহ উদ্ধার হয়।পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই ছাত্রী। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ছাত্রীর বাড়ি নিউটাউন সংলগ্ন বিপিএল কলোনি এলাকায়। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়। দোষীদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ স্থানীয়দের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নিউটাউন এলাকায় একটি ফাঁকা জায়গায় ওই ছাত্রী দেহ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে ছিল। পুলিশে খবর দিলে তারা দেহ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
খুনের অভিযোগ করেছেন মৃতের বাবা লক্ষীনারায়ন হাসদাঁ।তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। তাঁর অভিযোগ, ঈর্ষা পরায়ণ হয়ে কেউ পরিকল্পিত ভাবে তাঁর মেয়েকে খুন করেছে। তিনি বলেন, '২৭ তারিখ সন্ধ্যায় ও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, এরপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওকে ফোন করলেও ওর ফোনের সুইচ অফ ছিল। রাতে আমরা স্থানীয় এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'সারা রাত আমাদের চিন্তার মধ্যে দিয়ে কাটে। এরপর মঙ্গলবার সকালে হীরাপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করি। রাতে জানতে পারি মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আসানসোল জেলা হাসপাতালে এসে তার দেহ দেখতে পাই।' তিনি দাবী করেন, তাদের কোনও শত্রু ছিল না।
কেন এমন হল, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। তবে তিনি জানান, কোয়েল অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। সম্ভবত কেউ ঈর্ষা বশত এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বুধবার কোয়েলের দেহের ময়নাতদন্ত হবে এরপরই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে হিরাপুর থানার পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় হিরাপুর থানা এলাকায়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী থানা ঘেরাও, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আদিবাসীরা।
No comments:
Post a Comment