হিন্দু শাস্ত্রে ব্রহ্ম মুহুর্তকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে এই সময়ে স্বর্ণকে হারাম মনে করা হয়। ঘুম ছেড়ে দেওয়ার জন্য এই সময়টা খুবই ভালো। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ব্রহ্ম মুহুর্তে উঠলে একজন ব্যক্তি শক্তি, জ্ঞান, সৌন্দর্য এবং বুদ্ধি লাভ করেন। কথিত আছে যে ব্রহ্ম মুহুর্তে যদি আফনি রুটিন শুরু করা হয়, তাহলে তা ইতিবাচক শক্তির বিকাশ ঘটায়। শুধু তাই নয়, এ সময়ে করা যেকোনো কাজ সফল হয়।
জেনে নিন ব্রাহ্ম মুহুর্তের অর্থ
রাতের শেষ প্রহরকে বলা হয় ব্রহ্ম মুহুর্তা। রাতের এই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার পরিবর্তে আজকাল মানুষ এই সময়ে ঘুমায়, যা তাদের স্বাস্থ্য, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদির দিক থেকে সঠিক বলে বিবেচিত হয় না। বলুন যে ব্রহ্ম মানে ঈশ্বর এবং মুহুর্ত মানে সময় মানে ঈশ্বরের সময়।
জেনে নিন ব্রাহ্ম মুহুর্তের সঠিক সময়
শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, রাতের শেষ প্রহরের পরে এবং সূর্যোদয়ের ঠিক আগের সময়কে ব্রহ্ম মুহুর্ত বলা হয়। ভোর ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সময়কে বলা হয় ব্রহ্ম মুহুর্ত। কথিত আছে এই সময়ে করা ভগবানের পূজা দ্রুত ফল দেয়। তাই এই মুহুর্তে মন্দিরের দরজাও খুলে দেওয়া হয়।
ব্রহ্ম মুহুর্তে এই কাজগুলো করলে সফলতা পাবেন
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, সূর্যোদয়ের আগের সময়টিকে খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে এই সময়ে বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত বিশুদ্ধ এবং ইতিবাচকতায় ভরপুর থাকে। কথিত আছে, সকালে হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে সঞ্জীবনী শক্তি সঞ্চারিত হয়। ব্রহ্ম মুহুর্তের বাতাস অমৃতের মতো। এ সময় ঘুম থেকে উঠে ভগবানের আরাধনা করলে মানুষ শুভ ফল লাভ করে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment