জেলার সংগঠনের জন্য কোর কমিটি করেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কোর কমিটি নিয়েই ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন তৃণমূল জেলা সম্পাদক। ঘটনা বীরভূমের।
কালীঘাটের বৈঠকের পর আরও একবার অনুব্রত-হীন বীরভূম জেলা তৃণমূল সংগঠনের দায়িত্ব ভার নিজের হাতেই রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এরপর তৃণমূল জেলা সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষের ফেসবুকে পোস্ট কোর কমিটি কোনও দরকার নেই বলে।
আর এই পোস্ট ঘিরে দানা বেঁধেছে বির্তক। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'বীরভূম জেলা কোর কমিটি বলে কিছু নেই, আসল কমিটি হচ্ছে আমি তৃণমূল কংগ্রেস। কি না, না কি আমি ধান্দাবাজ?' কিন্তু এই পোস্টটি আবার বেশ কিছুক্ষণ পরে ডিলিটও করে দেন জেলা সম্পাদক।
এরপর দ্বিতীয় পোস্টে লেখা হয়, 'বোলপুর টাউনে কোনও ফালতু রাজনীতি হতে দেব না। এখানে আমরা মিলে মিশে থাকি, ধান্দাবাজি রাজমিনিলিকদের এখানে কেনও জায়গা নেই।'
আর এই পোস্ট সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। যদিও এই সমস্ত কিছু তিনি এড়িয়ে যান।
এই পোস্ট প্রসঙ্গে জেলা সম্পাদক বলেন, "আমার কাছে কোনও বার্তা এসে পৌঁছায়নি, আমি আগে কাগজে দেখেছিলাম আমরা কয়েকজন কোর কমিটির মেম্বার।' তিনি বলেন, 'কোর কমিটির মেম্বারটা আমার কাছে বড় ব্যাপার নয়, আমি তৃণমূল কংগ্রেসের নির্ভীক সৈনিক। আমি যদি তৃণমূলকে ভালোবাসি তাহলে আমি পদে থাকলাম, কি জেলায় সম্পাদক থাকলাম এসব বড় ব্যাপার নয়। আমার বার্তা, আমাদের বড় পরিচয় আমরা কংগ্রেসের সৈনিক, এইভাবে ট্রিট করা হোক। নিজেকে যদি হ্যানত্যান ভেবে চলি তাহলে মুশকিল হবে।'
জেলা সম্পাদক বলেন, 'সব দল একদিকে এবং আমরা একদিকে। এইসময় কর্মীদের বার্তা দেব, দিদির জয় হোক এবং আমাদের সমস্ত নেতৃত্ব ও কর্মী বর্গের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।'
এছাড়াও তাঁর দাবী, 'মুখ্যমন্ত্রী খোদ বীরভূম জেলার দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন, এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে।'
তিনি বলেন, 'এতদিন আমরা দোলাচলে ছিলাম, এখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সরাসরি নির্দেশ পাব যে, এভাবে চলতে হবে এবং সেই অনুযায়ী চলব। দিদি স্বয়ং যখন আমাদের চালিকাশক্তি, এর থেকে আনন্দের খবর কি হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডল নেই, ওনার অনুপস্থিতিতে একটি কোর কমিটি করে দিয়েছেন, নিশ্চয়ই তার গুরুত্ব আছে। কিন্তু যখন দিদি নিজেই আমাদের চালিকাশক্তি, তখন আমার মনে হয় দিদির কথা অনুযায়ী আমরা চলব।'
No comments:
Post a Comment