টেক্সটাইল মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিছুক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি কানপুরের। প্রবল বাতাসের কারণে আগুন ধীরে ধীরে আশেপাশের আরও দুটি টাওয়ারকে গ্রাস করে।আগুনের ভয়াবহ রূপ দেখে কানপুর জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও দমকল বাহিনীর পাশাপাশি বিমানবাহিনীর গাড়িও ডাকা হয়। তবে ৭ ঘণ্টার পরিশ্রমের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে সেনারা।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের ৫ ডজনেরও বেশি গাড়ি আগুন নেভাতে নিয়োজিত ছিল। আসলে, এআরএআর টাওয়ার মাসুদ টাওয়ার-১ মাসুদ টাওয়ার-২-এর আগুন হামরাজ বাজারে পৌঁছেছিল। যা কাপড়ের বড় পাইকারি বাজার। যা দেখে গভীর রাত থেকেই জওয়ানদের সঙ্গে ব্যস্ত কানপুরের জয়েন্ট সিপি আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি। সেই সঙ্গে আগুন ঠেকাতে কানপুর সংলগ্ন আশেপাশের জেলাগুলির কাছেও সাহায্য চেয়েছিল জেলা প্রশাসন।
একই সঙ্গে এই ঘটনার পর রাজ্যের ডেপুটি সিএম ব্রজেশ পাঠক আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিদর্শন করতে কানপুর পৌঁছেছেন। এখানে, কানপুরের বাঁশমান্ডিতে অবস্থিত তৈরি কাপড়ের বাজারে অগ্নি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসব টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর একটি বিষয় স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, এসব টাওয়ারে উপস্থিত পোশাক শিল্পের ব্যবসায়ীরা জানান, ফায়ার ব্রিগেডের কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে জেলা প্রশাসন বলছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে কীভাবে টাওয়ারে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে।
এর পাশাপাশি এআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জ্ঞান প্রকাশ সাহু (৪৮) নামে এক ব্যক্তি আটকা পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। যিনি রাতে টাওয়ারে ডিউটি করতেন। সেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন। বলা হচ্ছে, জ্ঞানপ্রকাশ সাহুর আত্মীয়রা নাকি তাঁর জন্য টাওয়ারের বাইরে বসে আছেন। স্বজনরা বলছেন, গভীর রাতে আগুন লাগার পর জ্ঞানপ্রকাশ সাহুর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। বর্তমানে তার খোঁজ করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment