আজ মঙ্গলবার, দোল পূর্ণিমা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলেই মেতে উঠেছেন রংয়ের উৎসবে। রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরাও রঙয়ের আবহে গা ভাসিয়েছেন। এই পর্বে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে দেখা গেল বেশ অন্য মেজাজে। চেতলা অগ্রণী ক্লাবের বসন্ত উৎসবে যোগ দেন ফিরহাদ। প্রভাত ফেরিতেও অংশ নেন, রংও মাখেন। এসবের মাঝেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্মরণ করেন ছেলেবেলার কথা।
ফিরহাদ বলেন, 'আগে এরকম অর্গানাইজ ভাবে আমাদের ক্লাবে দোল হতো না। আগে আমি বালিগঞ্জে থাকতাম, তারপর এখানে আসি। আমরা পাড়ার ছেলেরা আগে রং দিয়ে প্রচুর বেলুন বাঁধতাম। তারপর যারা পরিষ্কার জামা-কাপড় পড়ে যেত, সেই বেলুন তাদের ছুঁড়ে-ছুঁড়ে দিতাম। অনেক সময় আবার বাড়ি পর্যন্ত ঢুকিয়ে দিতাম।' মন্ত্রী বলেন, 'এর জন্য অনেক বকাবকিও খেয়েছি, বাবার কাছে মারও খেয়েছি।' তাঁর কথায়, 'এটা একটা নস্টালজিয়া, দোলের দিন সবাইকে নিয়ে রং খেলা, একসঙ্গে থাকা, আনন্দ করা।'
ফিরহাদ আরও বলেন, "আমরা তো বাংলার মানুষ, আমাদের 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'। আমরা আনন্দ করতে ভালোবাসি, আনন্দে থাকতে ভালোবাসি। তার জন্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। কারণ মেলা-খেলা-হোলি এগুলো জীবনের একটা অঙ্গ এবং আনন্দে থাকা একটা মানুষের কাছে খুব সৌভাগ্যের। আজকের সব রংকে আমরা মিশিয়ে একাকার করতে চাই।"
অবশ্য এই সময় বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মন্ত্রী। তিনি, সুজিত বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা দোল খেলায় মেতেছেন, বিজেপি নেতাদেরও দেখা যাচ্ছে দোল খেলায় মেতে উঠতে, এ প্রসঙ্গে ফিরহাদের খোঁচা, "তৃণমূল যা আজ ভাবে, বিজেপি ভাবে কাল; সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রজেক্টেই হোক আর আমাদের জনসংযোগেই হোক।"
No comments:
Post a Comment