গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চাষ লাভজনক। বাজারে এ ফুলের চাহিদা অনেক। বাড়ির আঙিনা, বারান্দাসহ যেকোনও ধরনের মাটিতে এ ফুলের চাষ করা যায়। জেনে নিন এর চাষ পদ্ধতি।
গ্লাডিওলাস চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি
সাধারণত যে কোনও ধরনের উর্বর মাটিতে গ্লাডিওলাস চাষ করা যায়, তবে ভালো নিষ্কাশনযুক্ত দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি এর চাষের জন্য উপযুক্ত। মাটির pH ৬-৭ এর মধ্যে হওয়া উচিৎ। খুব কর্দমাক্ত ও কালো মাটিতে চাষাবাদ না করাই ভালো। মাটি হালকা হলে জৈব পদার্থ যোগ করে মাটির গুণগত মান উন্নত করতে হবে। একই জমিতে বারবার গ্লাডিওলাস চাষ করলে মাটিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। সেজন্য সময়ে সময়ে অন্যান্য ফসল চাষ করা উচিৎ।
গ্ল্যাডিওলাসের কিছু উন্নত জাত
গ্ল্যাডিওলাসের উল্লেখযোগ্য উন্নত জাতগুলি হল আমেরিকান বিউটি, অ্যাংলিয়া, ব্লু-স্কাই, ইউরোভিশন, ফ্রেন্ডশিপ, হার ম্যাজেস্টি, হান্টিংসং, জেস্টার, ম্যাসাগ্নি, নোভালাক্স, অস্কার, পিটার পিয়ার্স, প্রিসিলা, রোজ ফায়ার, সুচিত্রা, ইয়োলো স্টোন, উইন্ড সং ইত্যাদি।
রোপণ পদ্ধতি
সম্পূর্ণ রোগমুক্ত বড় (৩০+/-০.৫ গ্রাম) মাঝারি (২০+/- ০.৫ গ্রাম) ওজন ৩.৫-৪.৫ সেমি ৬-৯ সেমি ব্যাস সহ কর্ম। এগুলি সুপ্ত থাকতে হবে, সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ২৫ সেমি রাখতে হবে। কিন্তু বাণিজ্যিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে ১৫*২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে রোপণ করা যায়।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি
গ্লাডিওলাস চাষের জন্য প্রতি হেক্টরে ১০ টন ভালো পচা গোবর, ২০০ কেজি ইউরিয়া, ২২৫ কেজি টিএসপি এবং ১৯০ কেজি এমপি দিতে হবে। শেষ চাষের সময় গোবর, টিএসপি এবং এমপি ভালোভাবে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। অর্ধেক ইউরিয়া বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর এবং অর্ধেক ফুল ফোটার পর দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment