অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পচা ডিম-শুকনো ভাত! কর্মী ও রাঁধুনিকে তালা মেরে বিক্ষোভ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 27 March 2023

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পচা ডিম-শুকনো ভাত! কর্মী ও রাঁধুনিকে তালা মেরে বিক্ষোভ


অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে পচা ডিম ও শুকনো ভাত, তাও আবার অনিয়মিত। এমনই অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনিকে তালা মেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন অভিভাবকদের। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামের এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।


অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাসের বিরুদ্ধে। বিনতি দাস সংবাদ মাধ্যমের কাছে পচা ডিম দেওয়ার কথাটি সরাসরি অস্বীকার করলেও ওই সেন্টারের রাঁধুনী শুক্লা দাস পচা ডিম দেওয়ার কথাটি স্বীকার করে নিয়েছেন। স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বরাবরই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। এর আগেও লকডাউনের সময় ওই সেন্টারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার ও পচা আলু দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার শিশুর পাতে দুর্গন্ধযুক্ত পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সমাধান হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। 


আরও অভিযোগ, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী গর্ভবতী মা ও প্রসূতি মায়েরা গোটা ডিম পাওয়ার কথা থাকলেও তা পায় না। কোনও কোনও দিন শুধু সাদা ভাত ও কাঁচা ডিম দেওয়া হয়। এমনকি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ছুটি রাখা হয় ওই সেন্টার। 


শেখ মানা নামে এক অভিভাবক বলেন, "এদিন সেন্টার থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পচা ডিম দেওয়া হচ্ছিল, যা মুখে তোলা যায় না। পচা ও নিম্নমানের খাবার খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বলতে গেলে কথায় কান দেয় না ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। আজও বলতে গেলে একই দশা।' 


রনি আলি নামে আরও এক অভিভাবকের অভিযোগ, এই সেন্টার থেকে নিয়মিত নিম্নমানের খাবার ও পচা ডিম দেওয়া হয়। সেন্টারের কর্মীকে বলতে গেলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। আজকে সাদা ভাত ও সিদ্ধ পচা ডিম শিশুদের দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়রা বলতে গেলে পচা ডিম ও  ভাতগুলি পুকুরে ফেলে দেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলে অভিযোগ। 


অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাস জানান,সেন্টার থেকে নিয়মিত শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। আজকেও খাবার দেওয়া হয়েছিল। পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগটি সরাসরি মিথ্যা। তাকে ফাঁসানোর একটা চক্রান্ত বলে জানান তিনি। 


অপরদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের সিডিপিও আব্দুল সাত্তার জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে এখনও কোনো্ও অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন‌‌ বলে আশ্বাস দেন তিনি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad